সাবেক কৃষিমন্ত্রীসহ শ্রীমঙ্গল আ’লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ২ মামলা

সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদসহ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমল আদালতে এ দুটি মামলা করা হয়।
আদালত মামলা দুটি আমলে নিয়ে পুলিশি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

পৃথকভাবে মামলা দুটি করেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহরতলীর কালিঘাট সড়ক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার ও কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র একই এলাকার বাসিন্দা শাহদাত হোসেন।

দুই মামলায় সাত বারের সাবেক এমপি ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: ইউসুফ আলী, সহ-সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা আকরামুল হক সোহাগ, আবিদ হোসেন তানভীর, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কায়েস আহমেদ, কৌশিক ভট্টাচার্য্য, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল দাস, আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন, বদরুল আলম শিপলু, মো: শাহজাহান মিয়া, মামুন আহমেদ, আকবর হোসেন শাহিন, ছাত্রলীগ নেতা কায়েছ আহমেদ, মোশাহিদ মিয়া, মো: সাইদুর রহমাস সুজাদ, আইবুর রহমান আকাশ, আজিজুর রহমান নাঈম, মো: আজমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকাশ দেব জুয়েল, শেখ নোমান, কাউসার আলী, হারুনুর রশিদ, ফয়সল আলী, সজিব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজু, কৃষকলীগ নেতা শহীদ মিয়া, জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়া, যুবলীগের সাদিকুল ইসলাম, মো: আজমান মিয়া ও আইবুর রহমান আকাশ। এছাড়া মামলা দুটিতে শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বাদিরা মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি চলাকালে কৃষিমন্ত্রীসহ স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হুকুমে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীদের হামলা, জখম করা, বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করেন।