ফেলেপস কি হতে পারবেন মারশড
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ০৩ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৫৩
মাইকেল ফেলেপস। যুক্তরাস্ট্রের এই তারকা সাঁতারুর দখলে ২৮টি পদক। এরমধ্যে স্বর্ণ ২৩টি। এতোগুলো অলিম্পিক পদক জিতে রেকর্ড বুকে ফেলেপস। অবসর জীবন পার করছেন ফেলেপস। তবে উপস্থিত আছেন প্যারিস অলিম্পিক গেমসে।
গ্যালারীতে উপস্থিত থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন নিজ দেশের সাঁতারুদের। এই ফেলেপসের সামনেই গত বছর জাপারে ফুকোওকাতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন লিওন মারশড। ভেঙে দেন ফেলেপসের রেকর্ড। এবার প্যারিসে নিজ দেশের পুলে এখন পর্যন্ত চার স্বর্ণ গলায় তোলা মারশডের। পরশু রাতে লা ডিফেন্স এরিনাতে তিনি জয় করেন ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের স্বর্ণ। ফলে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবেই চার স্বর্ণ জয় করা ২২ বছরের মারশডের। তাকে আগে থেকেই ফেলেপসের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন তার পক্ষে কি সম্ভব হবে মার্কিন সাঁতারুর ২৮ অলিম্পিক পদক জয়ের রেকর্ডকে স্পর্শ করা।
১ মিনিট ১৫ দশমিক ৬ সেকেন্ডে ২০০ মিটারে প্রথম হয়ে তিনি নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন। মাত্র ০.০৬ সেকেন্ডের জন্য ভাংগতে পারেননি রায়ান লোচতের বিশ্ব রেকর্ড। মারশডের কাছে হেরেই স্বর্ন গলায় তুলতে পারেননি মার্কিন সাঁতারু কারসন ফস্টার। সাঁতার শেষে ফস্টার জানান, তার (মারশড) মতো সাঁতারুর বিপক্ষে লড়াই করে স্বর্ন জয় করাটা বেশ কঠিন। তাকেতো ফেলেপসের মতোই মনে হচ্ছে।’
এক সপ্তাহ আগেও অলিম্পিক পদক শূন্য ছিলেন মারশড। আর এখন তার দখলে ৪ স্বর্ণ। ১৯ বছর বয়সে মারশড টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেন। তখন তার কাছে কারো পদকের প্রত্যাশা ছিল না। প্রথম অলিম্পিকে অংশ নিয়েই পদক জয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে ফেলেপস। ফেলেপস ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকে অভিষেক ঘটিয়েই স্বর্ণ পদক গলায় তোলেন। অন্যদিকে একই দিনে দুই অলিম্পিক স্বর্ণ জিতে ফেলেপসকে পেছনে ফেলেছেন মারশড। মারশড অবশ্য এবার নিজ দেশের দর্শকদের উপস্থিতিতেই পুল মাতাচ্ছেন। সেই সুযোগ ফেলেপস পাননি। তাকে সব ইভেন্টেই সেরা হকে হয়েছে অন্য দেশের শহরে হওয়া অলিম্পিক গেমসে। গ্রীসের এথেন্সের পর চীনের বেইজিং ইংল্যান্ডের লন্ডন, ব্রাজিলের রিও ডি জানেইরো এবং জাপানের টোকিও অলিম্পিক গেমসে। তাই আটলান্টিকের পশ্চিম পাড়ের সাঁতারুটিকে টপকাতে পূর্ব পাড়ের ক্রীড়াবিদের আরো লম্বা সময় পার করতে হবে। সাথে ততোদিনে স্বর্ণ জয়ের মতো অবস্থানেও থাকতে হবে। এরপরও নতুন ফেলেপস উপাধি বাগিয়ে নিয়েছেন মারশড।