মণিপুর সংকটে বিদেশীদের হাত!

ভারতের মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন, আসাম রাইফেলসের হাতে মিয়ানমারের নাগরিক কুকি ন্যাশনাল আর্মি (বার্মা) (কেএনএ-বি) ক্যাডার গ্রেফতার হওয়া ঘটনা স্পষ্টভাবে মণিপুর সংকটে বিদেশী উপাদানগুলোর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।

ইম্ফলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বীরেন বলেন, সংঘর্ষে বিদেশীদের জড়িত থাকার সন্দেহটি জনসাধারণের কিছু অংশ প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস করেনি এবং মণিপুরে সক্রিয় জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের প্রমাণসহ বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করার জন্য আসাম রাইফেলসের প্রশংসা করেছেন।

বীরেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি ধারাবাহিকভাবে দাবি করেছি যে বর্তমান সঙ্কটে বিদেশী উপাদান ইন্ধন জোগাচ্ছে।

গ্রেফতার হওয়া কেএনএ (বি) ক্যাডার নাগামপাওয়ের ছেলে থাংলিংকপ মিয়ানমারের খামপাটের কোলাংয়ে জন্মগ্রহণকারী এমিয়ানমারের নাগরিক। সম্প্রতি মণিপুরের চান্দেল জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহ থেকে কুকি অধ্যুষিত জেলা চুরাচাঁদপুর পর্যন্ত জঙ্গলের ধারে অস্ত্র সরবরাহের জন্য নজরদারি মিশন চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, মণিপুর সরকার ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলার আঞ্চলিক এখতিয়ারে লিজ লাইনস, ভিএসএটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএন পরিষেবাসহ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবা সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে।

রাজ্য সরকার বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে এবং জনস্বার্থে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরল বিশ্বাসে আরোপিত ইন্টারনেট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সোমবার একটি সরকারি আদেশে বলা হয়েছে।

সরকার সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভবিষ্যতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করতে পারে এমন কার্যকলাপে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

দুটি পৃথক আদেশে, সরকার ঘোষণা করেছে যে স্কুল ও কলেজ, বেসরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উভয়ই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক ক্লাস শুরু হবে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস