সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন কেজরিওয়াল, তবে...
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১১
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছে তাকে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের ধমক শুনতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে।
এর আগে আরেক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেতেই তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়া শুক্রবার মন্তব্য করেন, ‘ইডির মামলায় কেজরিওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, খুব সম্ভবত সেই কারণেই সিবিআইও তাকে গ্রেফতার করেছিল।’
এদিকে, বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরিকে জামিন দেয়া হয়েছে। জেল থেকে বাহির হওয়ার পর তিনি কোনো ফাইলে সই করতে পারবেন না বলে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, আবগারি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে সিবিআইও তাকে গ্রেফতার করে। মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে প্রচার করার জন্যে জামিন দেয়া হয়েছিল কেজরিকে। পরে আবারো তিহাড় জেলে ফিরে যেতে হয়েছিল তাকে।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নতুন নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ কারবারির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে (আপ)।
এদিকে, এ ঘটনায় তেলেঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতার সরাসরি যোগসূত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদদে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস