আসছে 'আসনা', আঘাত হানবে পাকিস্তানে না ভারতে!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩১
আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'আসনা' পাকিস্তান না ভারতে আঘাত হানতে তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কচ্ছ এবং সংলগ্ন পাকিস্তানের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। সেটি ক্রমে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের পশ্চিম দিকে সরছে। করাচির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ছয় ঘণ্টায় ছ’কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় এগোচ্ছে ক্রমশ। সেই গতিবেগ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে সরে যাবে। তবে নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিন ধরে গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। পাকিস্তানের দিকে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হলেও গুজরাতের উপর থেকে এখনই দুর্যোগের মেঘ কাটছে না। আগামী দু’দিন গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের নাম দেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ যে সে ঘূর্ণিঝড় নয়। গত ৮০ বছরে মাত্র চারবার এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় দেখা গেছে। নিম্নচাপ সাধারণত তৈরি হয় সমুদ্রে। পরে তা শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়ে স্থলে। কিন্তু আসনার ক্ষেত্রে উল্টা। নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে স্থলে এবং এই নিম্নচাপ থেকে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সমুদ্রে। শুক্রবার থেকেই দেশের পশ্চিম উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। রাজ্যের সাতটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। তার মধ্যে রয়েছে, কচ্ছ, জামনগর, মোরবী, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কচ্ছ এবং আশপাশের এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড়টি ভূজের প্রায় ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে অবস্থান করছে।
অতি বৃষ্টির প্রভাবে গত চার দিনে গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৬। তা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১৮০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১২০০ জনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গুজরাতের বরোদা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বিশ্বামিত্রী নদীর পানির স্তর বেড়েছে। অনেক নিচু এলাকা এখনো পানির নিচে রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা