২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ত্রিপুরায় অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত, বিপৎসীমার উপরে একাধিক নদী

ত্রিপুরায় অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত, বিপৎসীমার উপরে একাধিক নদী - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবল বর্ষণ। ওই পানিই বাংলাদেশের বন্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী। সেখান থেকে খারাপ খবর পাওয়া যাচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গেছে।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ধস নেমে একই সাথে দুই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছিলেন নারী এবং শিশুরাও। বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ত্রিপুরায়। এর ফলে একাধিক নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছ’টি জেলায় নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গেছে। বিঘা বিঘা চাষের জমি পানির নিচে। যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ত্রিপুরায় বন্যার কারণে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত।

রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ত্রিপুরায়। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমানবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর কপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় পৌঁছেছে আরো বাহিনী।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ে চার শ'র বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। ত্রাণশিবিরে এই মুহূর্তে ৬৫,৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

এতে বলা হয়, বৃষ্টির কারণে বার বার ধস নামছে ত্রিপুরায়। তাতে বিপদ আরো বাড়ছে। বন্যার কারণে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না আবহাওয়া বিভাগ। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়। লাল সতর্কতা জারি রয়েছে শনিবার পর্যন্ত। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে উদ্ধারকাজও পুরোদমে শুরু করা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল