১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতে প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যে বিতর্ক

ছবি- সুরাট পৌরনিগম - ছবি : বিবিসি

ওয়াকফ বোর্ড পরিচালনাকারী আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী বিল নিয়ে ভারতে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। একদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চায় কেন্দ্র সরকার।

অন্যদিকে সরকার বলছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হলো ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার এবং মুসলিম নারী ও বঞ্চিতদের কল্যাণ।

একাধিক মুসলিম সংগঠন এই বিলের তীব্র বিরোধীরা করেছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলের যে সমস্ত বিষয় নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে সে সম্পর্কে তারা সরব হয়েছে। এরইমধ্যে ২২ আগস্ট যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এই নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

এই আবহে মুসলিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এনডিএ সরকারের জোট শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) মতো এনডিএ শরিকদের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর সমর্থনের দিকে তাকিয়ে।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) সদস্য আনিসুর রেহমান এবং আবু তালিব রহমানি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারের সাথে দেখা করে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে আটই আগস্ট ভারতের লোকসভায় পেশ করা হয় ওয়াকফ বোর্ড পরিচালনাকারী আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী বিল। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এই প্রস্তাবিত বিল পেশ করলে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্র সরকারকে।

উল্লেখ্য, ওয়াকফ সম্পত্তি হল এমন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি যা আল্লাহর নামে করে দেয়া হয়েছে। সেই সম্পত্তি সেবার কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু হস্তান্তর করা যায় না। ওয়াকফ বোর্ড সারা ভারতে ৯ দশমকি ৪ লাখ একর জুড়ে ৮ দশমকি ৭ লাখ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে, যার আনুমানিক মূল্য ১ দশমকি ২ লাখ কোটি টাকা।

ওয়াকফ বোর্ডই ওয়াকফের সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই বোর্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বেআইনি ভাবে জমি দখল এবং ক্ষমতার ‘অপপ্রয়োগের’ অভিযোগ উঠেছে।

যেমন সুরাটের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তামিলনাড়ুর রুচিরাপল্লির এক ব্যক্তি তার সম্পত্তি বিক্রি করতে গিয়ে জানতে পারেন তার পুরো গ্রামটাই ওয়াকফ সম্পত্তি। এমন বহু উদাহরণ রয়েছে এই তালিকায়।

দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াকফ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। লোকসভায় পেশ করা হলে এ নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক হয়। বিরোধীদের দাবি এই সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য ‘ধর্মীয় মেরুকরণ’। এই অভিযোগ কেন্দ্র সরকার অস্বীকার করেছে। শেষপর্যন্ত ঐকমত্যের জন্য এই প্রস্তাবিত বিলকে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিজেপি এবং বিরোধীদের চাপানউতোরের পাশাপাশি ওয়াকফ বিলের প্রস্তাবিত সংশোধন নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও মিশ্র মত পোষণ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুরবান আলী এই সংশোধনীকে ‘গুরুত্বপূর্ণ জমিগুলোকে সরকারের তরফে দখল করার’ চেষ্টা হিসাবে মনে করেন।

অন্যদিকে, আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের মতে একই দেশে সম্পত্তি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আইন থাকতে পারে না।

ওয়াকফ কী?
ওয়াকফ হল এমন কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি যা কোনো ব্যক্তি যিনি ইসলামে বিশ্বাস করেন, তিনি আল্লাহর নামে বা ধর্মীয় উদ্দেশে বা দাতব্য কাজের জন্য দিয়েছেন। যিনি সম্পত্তি দেন করেন তাকে বলা হয় ওয়াকিফ।

এই সম্পত্তি সামাজিক কল্যাণের জন্য ব্যবহার করার কথা এবং নিয়ম মাফিক আল্লাহ ছাড়া কেউ এর মালিক নন এবং হতেও পারে না। এই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রি করা যায় না।

ওয়াকফ সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না এবং কারো কাছে হস্তান্তরও করা যায় না।

ওয়াকফ বোর্ড আইন ১৯৯৫ এর অধীনে, ওই বোর্ড ওয়াকফ দলিলের মাধ্যমে, সমীক্ষা করে বা ক্রমাগত ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এই তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে কোনো সম্পত্তি ওয়াকফের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

ঈদগাহ, কবরস্থান, মসজিদ, খামার, দালানকোঠা, বাগান বা যেকোনো ধরনের সম্পত্তি ওয়াকফের আওতায় নেয়া যেতে পারে।

আইন অনুসারে, যদি কারো সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে নথিভুক্ত করা নিয়ে আপত্তি থাকলে সম্পত্তি ওয়াকফে অন্তর্ভুক্তির এক বছরের মধ্যে ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে জানাতে হবে। সেই ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেবে যে ওই সম্পত্তি ওয়াকফ কি না।

ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল রয়েছে। এ ছাড়া রাজ্য স্তরে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার জন্য ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। এই ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

কেন এ নিয়ে বিতর্ক?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় রেলের পরে, যদি কেউ সবচেয়ে বেশি সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে, তবে তা হল ওয়াকফ। দেশের সবচেয়ে বেশি জমির মালিকানা এই তিনের হাতে রয়েছে। কিন্তু ওয়াকফের আওতায় থাকা সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন সময় ওয়াকফের আওতায় অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকফ বোর্ডের তরফে যেভাবে সম্পত্তিবিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেই পদ্ধতি নিয়েও।

এর পাশাপাশি গত দু’বছরে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে ওয়াকফ সংক্রান্ত প্রায় ১২০টা পিটিশন জমা পড়েছে, যার পরে এই আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

পিটিশনে ওয়াকফ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলা হয়েছিল, জৈন, শিখ ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নয়।

কী কী সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে?
কে রেহমান খানের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়েছিল ওয়াকফ আইন ১৯৯৫-এ। এরপর যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) এবং পরে রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটি এই নিয়ে আলোচনা করে। সেখানে ওয়াকফ বোর্ডকে যে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা খর্ব করা হয়েছে এই নতুন প্রস্তাবিত বিলে।

ওয়াকফ আইনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।

সংশোধনী বিল অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি যিনি কমপক্ষে পাঁচ বছর ইসলাম অনুশীলন করেছেন এবং যার আলোচ্য জমির মালিকানা রয়েছে তিনি ওয়াকফে দান করতে পারেন।

কোনো সম্পত্তি ওয়াকফের আওতায় পড়বে সেটা নির্ধারণ করার যে অধিকার ওয়াকফ বোর্ডের হাতে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ওয়াকফ জমি জরিপের দায়িত্ব জেলা শাসক বা ডেপুটি কমিশনারকে দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পোর্টাল এবং ডাটাবেসের মাধ্যমে ওয়াকফের সম্পত্তি নথিভুক্ত করা হবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে মুতাওয়াল্লি অর্থাৎ ওয়াকফ সম্পত্তির দেখাশোনা যিনি করছেন তার সমস্ত তথ্য দিতে হবে।

ওয়াকফ বোর্ডের হাত থেকে ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বর্তমান তিন সদস্যের ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালও তিন সদস্যের বদলে দুই সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে না। ৯০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া যাবে।

রাজ্য স্তরে সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল এবং ওয়াকফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম প্রতিনিধি রাখার বিধান দেয়া হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে বোহরা ও আঘাখানি সম্প্রদায়ের জন্য একটা আলাদা ওয়াকফ বোর্ড প্রতিষ্ঠার সংস্থান রয়েছে।

বিদ্যমান আইন নিয়ে কী অভিযোগ?
ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে যারা পিটিশন দায়ের করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলেন রাজস্থানের বুন্দির বাসিন্দা শাহজাদ মহম্মদ শাহ। বিজেপির মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের এই সদস্যের অভিযোগ ওয়াকফ বোর্ড ফকির সম্প্রদায়ের ৯০ বিঘা জমি বেআইনিভাবে দখল করেছে।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজস্থানের কোটা ও বারান জেলায় বসবাসকারী আরো কয়েকজন সদস্য আদালতে একই ধরনের পিটিশন দাখিল করেছিলেন।

যুক্তি-পাল্টা যুক্তি
যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার এবং বিরোধী এই বিল নিয়ে দুই পক্ষই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছে।

বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, এই নতুন বিল অসংবিধানিক।

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেছেন, ‘সাংবিধানিক কাঠামোকে লঙ্ঘন করে এই বিল। এটা বিশেষভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা পৃথকীকরণকে লঙ্ঘন করে। সংশোধিত বিল অনুযায়ী, একমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এবং যারা পাঁচ বছর ধরে এই ধর্ম অনুশীলন করে এসেছেন, তারাই দান করতে পারবেন। কেন তাকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে? এটা ধর্মে হস্তক্ষেপ নয়?’

সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ ইয়াদব প্রশ্ন তুলেছেন, ‘অন্যান্য ধর্মের নিয়ন্ত্রক বোর্ডে যখন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা স্থান পান না, তাহলে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমরা কেন?’

ওয়েইসি বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘আসলে আপনারা আরএসএসের দাবি জানানো মসজিদগুলোকে, ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনের দাবি জানানো দরগাহ কেড়ে নিতে চান। ওয়াকফকে সরিয়ে দিয়ে আপনারা ব্যবহারকারীকে নথি (সম্পত্তির সংশ্লিষ্ট) পেশ করতে বলছেন। ৪০০ বছরের পুরানো নথি যদি না থাকে তাহলে কথা থেকে আনবে তারা?’

পাশাপাশি আরএসপি সাংসদ এনকে প্রেমচন্দ্রনের মতে সামনে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন। তার আগে, হিন্দু ভাবাবেগকে উস্কে দিতে এই পদক্ষেপ।

তীব্র বিরোধিতার মুখে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগের প্রসঙ্গে একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন রিজিজু। তার কথায়, ‘তিরুচিরাপল্লি জেলা তামিলনাড়ুর অন্তর্গত। দেড় হাজার বছরের পুরনো সুন্দরেশ্বর মন্দির সেখানেই অবস্থিত। সেখানে এক ব্যক্তি তার সম্পত্তি বিক্রি করতে যান এবং তাকে বলা হয় যে তার গ্রামটি ওয়াকফ সম্পত্তি। কল্পনা করুন, গোটা গ্রামকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে ধর্ম দেখবেন না।’

এর পাশাপাশি টেনে এনেছেন সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রসঙ্গও।

তিনি বলেছেন, ‘সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দফতরকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন? এটা কী করে সম্ভব?’

সংশোধিত বিল প্রস্তাবের সাথে ধর্মের কোনো যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তার কথায়, ‘আমি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। হিন্দু বা মুসলিম নই, কিন্তু আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। এটাকে ধর্মীয় সমস্যা হিসেবে দেখবেন না। পুরসভা কি ব্যক্তিগত সম্পত্তি? পুরসভার সম্পত্তিকে কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা যায়?’

তার এই সমস্ত যুক্তি অবশ্য লোকসভায় বিরোধীদের শান্ত করতে পারেনি।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কুরবান আলী বলেছেন, ‘এটা শুধুমাত্র হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে নেয়া একটা পদক্ষেপ। বিদ্যমান ওয়াকফ আইনে কিছু ত্রুটি রয়েছে এবং ওয়াকফ বোর্ডের সাথে যুক্ত অনেক ইউনিটে দুর্নীতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেটাও ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না।’

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য, খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহলি বার্তা সংস্থা এএননআইকে বলেছেন, ‘আইন বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে সংশোধনী আনার ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির ক্ষতি হবে... বেশ কিছু সময় ধরে ওয়াকফ সম্পর্কে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যমান অ্যাক্ট-এ ওয়াকফের অধীনে কোনো সম্পত্তিকে নথিভুক্ত করার আইনি বিধান আছে।’

আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় মনে করেন এই সংশোধন প্রয়োজন। তার মতে, ‘ধর্মের কারণে কোনো ট্রাইব্যুনাল হতে পারে না। ভারতে একইসাথে দুই ধরণের আইন থাকে পারে না। একটাই দেশে সম্পত্তির জন্য একটাই আইন থাকবে। আদালতে ১২০টা পিটিশনের মধ্যে আনুমানিক ১৫টা মুসলিমদের দায়ের করা।‘

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement