২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যায় সহকর্মীরাও জড়িত!

কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যায় সহকর্মীরাও জড়িত! - ছবি : সংগ্রহ

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তার সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ মৃতার বাবা-মায়ের। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও তারা তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে জানিয়েছেন। এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা ওই সংবাদ সংস্থাকে এই খবর জানিয়েছেন।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, একজন মাত্র তাদের কন্যার ধর্ষণ এবং খুনের সাথে জড়িত বলে তারা মনে করেন না। বরং তাদের অনুমান, এই ঘটনার সাথে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। গোটা ঘটনায় হাত থাকতে পারে হাসপাতালেরই চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের। মৃত চিকিৎসকের সাথে কাজ করতেন, এমন কয়েকজনের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন তারা। তাদের সন্দেহ করার কারণও জানিয়েছেন। সিবিআই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

সিবিআই সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা যাদের নাম বলেছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, কলকাতা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যারা প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন। পুলিশ কোন সূত্রে কী কী তথ্য জোগাড় করেছিলেন, তা জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি বলেন, ‘রাত ২টার পর মেয়েটি ঘুমাতে গিয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত সে সহকর্মীদের সাথেই ছিল। পরের দিন সকাল ৯টায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এতটা সময় তার খোঁজ কেউ নিলেন না কেন?’

শুক্রবারও আরজি করের কয়ে জন চিকিৎসক শিক্ষার্থীকে তলব করেছিল সিবিআই। তারা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরাও দিয়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। এর আগেও কয়েকজন চিকিৎসককে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শুক্রবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন আরজি করের মৃত চিকিৎসকের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীও।

গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ধৃতকে শুক্রবার আরজি করের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়। শুক্রবার আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দীর্ঘক্ষণ সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার আবার তাকে তলব করা হয়েছিল। সকালেই তিনি সেখানে পৌঁছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল