১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জেনারেল ফয়েজ হামিদ গ্রেফতার, কোর্ট মার্শালের উদ্যোগ

আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ - ফাইল ছবি

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত হামিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)–এর পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফয়েজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হয়েছে তারই ভিত্তিতে এই গ্রেফতার হয়েছে। তবে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ইমরানের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়েছেন ফয়েজ।

উল্লেখ্য, ইমরানের পতনের পর গত বছরের গোড়ায় ফয়েজের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে দাবি করা হয়, তেহরিক-ই-তালেবান উগ্রবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন আইএসএআই প্রধান। আর ওই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সে সময় জল্পনাও তৈরি হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর ওই সূত্রের দাবি, সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে উস্কানি দেয়া, চাঁদাবাজি এবং দেশের রাজনীতিতে একটা ডামাডোল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদত দিয়েছেন ফয়েজ। শুধু তাই-ই নয়, তেহরিক-ই-তালেবান উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা, খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে উগ্রবাদী কার্যকলাপে মদত জোগানোরও অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অনেক প্রামাণ্য তথ্য হাতে এসেছে সরকারের।

হামিদ আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বাহিনীর বিদায় এবং তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর কাবুলের একটি হোটেল লবিতে চা পানের একটি ছবি প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন জেনারেল ফয়েজ হামিদ।

সূত্র : রয়টার্স এবং অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement