হিমাচলে ভারি বৃষ্টিপাতে নিহত ১০, নিখোঁজ অর্ধ শতাধিক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩২
ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারি বৃষ্টিপাতে অনেক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কেবল উত্তরাখণ্ডেই মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। হিমাচলে এখনো পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো সেখানে অনেকেই নিখোঁজ। এদিকে কেদারনাথের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়েছেন ধসের জেরে।
জানা গেছে, হিমাচলপ্রদেশের সিমলা ও মান্ডিতে জোড়া মেঙভাঙা বৃষ্টি হয়। এর জেরে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগে এখন পর্যন্ত মান্ডিতে দু’জন এবং রামপুরে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মান্ডির চৌহার উপত্যকার তেরং গ্রাম প্রায় পুরোটাই ভেসে গিয়েছে এই দুর্যোগের জেরে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। এই আবহে ঘুমের ঘোরেই অনেকে জলে ভেসে যান। কুলুতে ভেসে গিয়েছে মালানা বাঁধ। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের টিহরিতেও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কেদারনাথের পথে ভীম বলীতে বড় ধস নামে। বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রা চলছে। এই আবহে দুর্যোগের জেরে পর্যটক এবং পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কেদারনাথে ইতিমধ্যেই আটকে পুণ্যার্থীরা। এই আবহে আপাতত কেদারের উদ্দেশে পুণ্যার্থীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।
হরিদ্বারেও ধস নেমেছে। সেখানে ধসের জেরে বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের ছ’জন আহত হন। হরিদ্বারে বহু গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। চামোলিতে এক মহিলা এবং শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আলমোড়াতে একটি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিথোরাগড়-তাওয়াঘাট জাতীয় সড়ক। ধসের জেরে রুদ্রপ্রয়াগ, বাদেশ্বর, চম্পাবত এবং টিহরী জেলার বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস