আসামের মুসলিমদের নিয়ে বিস্ফোরক হিমন্ত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪১
ভারতের আসাম রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জনসংখ্যার হিসাব দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বিশেষ মন্তব্য করেছেন। বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, মুসলিম জনসংখ্যা এই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে ৪০ শতাংশে। জনসংখ্য়ার এই ম্যাপে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা একটা বড় ব্যাপার।
ঝাড়খণ্ডের ভোটের কো ইনচার্জ হলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে গিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আসাম থেকে এসেছি। আমার কাছে জনসংখ্যা সম্পর্কিত এই যে পরিবর্তন সেটা একটা বড় ব্যাপার। এখন আমার রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে এটাই ছিল ১২ শতাংশ। এটা আমার কাছে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা মরণ-বাঁচনের ব্যাপার। সাংবাদিকদের তিনি একথা জানিয়েছেন।
এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা আলোচনা চলছে। মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ও তা নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি নিজেই এনিয়ে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ডের কিছু জায়গায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এবার ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন করতে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও একহাত নেন তিনি। ঝাড়খণ্ডকে মিনি বাংলাদেশ তৈরির চেষ্টা করছেন । আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করছেন, আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করছেন জমি দখল করার জন্য। আমি ঝাড়খণ্ডে একটা আইন তৈরির করার জন্য বলব যেখানে আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন না অনুপ্রবেশকারীরা।
তিনি জানিয়েছেন, এই সরকারের আমলে কোথাও কোনো উন্নতি হয়নি ঝাড়খণ্ডে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রাজ্যে তৈরি হয়নি। উন্নয়নও থমকে গিয়েছে। যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, এবার লোকসভা ভোটে এনডিএ ১৪টি আসনের মধ্য়ে ৯টি আসন পেয়েছে। ৫১টি বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তারা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস