‘চীন বিশেষজ্ঞ’কে পররাষ্ট্র সচিব করল ভারত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪৯, আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫১
ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অভিজ্ঞ কূটনীতিক বিক্রম মিশ্রি। এর আগে, বেইজিংয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে।
গত সপ্তাহরে শেষে দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন বিনয় কোয়াত্রা। এরপরই সোমবার পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেন বিক্রম।
বিক্রম মিশ্রি ভারতীয় ফরেন সার্ভিসের ১৯৮৯ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ডেপুটি পদে কাজ করছিলেন।
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত বেজিংয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ওই সময়কালেই গালওয়ানে সংঘর্ষ ঘটেছিল ভারত ও চীনা সেনা বাহিনীর। চীনা সরকারের সাথে যোগযোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিক্রম।
এদিকে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর বিরল কৃতিত্ব রয়েছে বিক্রমের। ১৯৯৭ থেকে ১৯৮৮ সালে ইন্দ্র কুমার গুজরালের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন বিক্রম। এরপর ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মনমোহন সিংয়ের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। পরে ২০১৪ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও দায়িত্বে বিক্রম।
এদিকে চীন ছাড়াও স্পেন, মায়ানমারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিক্রম। এদিকে পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসেও কাজ করেছেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে চার্জ দে’অ্যাফেয়ার ছিলেন বিক্রম। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্পেনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে মায়ানমারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন বিক্রম। এদিকে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন বিক্রম। এছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন বিক্রম। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বেলজিয়াম ও জার্মানিতেও ছিলেন তিনি।
১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর শ্রীনগরে জন্ম নেয়া বিক্রমের ছোটবেলা কেটেছিল উপত্যকাতেই। শ্রীনগরেরই একটি স্কুলে তিনি পড়েছেন। পরে তিনি উধমপুর ও গোয়ালিয়রে নিজের স্কুলজীবন শেষ করেন। নয়াদিল্লির হিন্দু কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। জমশেদপুর এক্সএলআরআই থেকে এমবিএ করেন তিনি। এরপর তিনি ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস