আসামের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৫:০৪
ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতি এখনো শোচনীয়। ১২ লাখের বেশি মানুষ এখনো বন্যাকবলিত। পানির নিচে হাজার হাজার গ্রাম।
শুক্রবার বন্যার কারণে নতুন করে ওই রাজ্যে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আসামে বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০। এখনো বেশ কিছু জায়গায় বিপৎসীমার ওপরে বইছে ব্রহ্মপুত্রের পানি।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগের চেয়ে আসামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এখনো আসামের ২৪টি জেলার ১২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। পানি নিচে দুই হাজার ৪০৬টি গ্রাম। ৩২ হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে আসামের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এএসডিএমএ)।
এএসডিএমএ-এর রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার আসামে গোয়ালপাড়া জেলায় নৌকাডুবি হয়েছে।। এতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নগাঁও ও জোরহাটে বন্যার পানিতে ডুবে একজন করে মারা গেছে। এর ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯০। আসামের যে জেলাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে কাছার, ধুবড়ি, নগাঁও, ডিব্রুগড়, কামরূপ, গোলাঘাট, জোরহাট, মরিগাঁও, লখিমপুর, করিমগঞ্জ, দারাং, মাজুলি, তিনসুকিয়া অন্যতম।
এএসডিএমএ আরো জানিয়েছে, রাজ্যের অনেক জেলাতেই নদীর পানি কমছে। কিন্তু নেমাটিঘাট, তেজপুর, ধুবড়ির মতো জায়গায় ব্রহ্মপুত্র এখনো বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এছাড়া বুরহিডিহিং নদী, দিসাং নদী, কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এই সমস্ত নদী দু’কূল ছাপিয়ে প্লাবিত করেছে পুরো এলাকা।
আসামে প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের ৩১৬টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। বন্যায় বিপাকে পড়েছে রাজ্যের সাড়ে ছয় লাখের বেশি পশু। কাজিরাঙায় মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাইনো, ১৫০টি হগ ডিয়ারসহ ১৮০টি পশুর। ১৩৫টি পশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা