ভারতীয়রা টাকার জন্যই রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে!

রুশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করেছে মস্কো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের দু’দিন পর ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত রোমান বাবুশকিন বললেন, রুশ সেনায় ভারতীয়দের কখনোই চাওয়া হয়নি। ভারতীয়দের যোগ দেয়ার পিছনে রয়েছে আর্থিক কারণ। উল্লেখ্য, রুশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয়দের অবিলম্বে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে মোদির কথা হয়। জানা যায়, মোদির দাবি মেনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

কাজের খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে সে দেশের সেনাবাহিনীত যোগ দিতে ভারতীয়রা বাধ্য হয়েছেন বলেই এর আগে শোনা গিয়েছিল। যুদ্ধ করতে গিয়ে দুই ভারতীয়র মৃত্যুও হয়। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের বক্তব্য, এই গোটা ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মোদি জমানায় ভারতে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি ঠিক কেমন। বিপদ অনিবার্য জেনেও বিদেশে গিয়ে সেখানে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন যুবকেরা, কারণ বিনিময়ে অর্থ পাওয়া যাবে। মোদির গ্যারান্টি-র ছিটেফোঁটাও যদি কর্মসংস্থানে দেখা যেত তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।

বুধবার বাবুশকিন বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই, ভারতীয়রা রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিক, তা আমরা কখনোই চাইনি। এই বিষয়ে কোনো ঘোষণার কথাও শুনবেন না আপনারা। বিষয়টাই অর্থনৈতিক। অর্থ উপার্জনের জন্য তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তারা টাকা উপার্জন করতে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, আমরা নিতে চাইনি।’ এই সাথে রুশ রাষ্ট্রদূতের দাবি, অধিকাংশই পর্যটক ভিসায় রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। ঠিকঠাক ভিসা ছিল না তাদের। সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন বিভাগে সহযোগী কর্মী হিসেবে তাদের নেয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে আচমকাই প্রকাশ্যে আসে যে, ভারতীয়রা রাশিয়ায় কাজের খোঁজে গিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। পার্লামেন্ট সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, তেলঙ্গনা, গুজরাত, কর্নাটক, জম্মু-কাশ্মির, উত্তরপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্য থেকে নির্মাণশ্রমিকের চাকরির ‘টোপ’ দিয়ে যুবকদের নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ায়। কিন্তু ওই দেশে পৌঁছতেই সরাসরি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। নামমাত্র প্রশিক্ষণের পরেই তাদের নামিয়ে দেয়া হয় যুদ্ধক্ষেত্রে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা