পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫০, আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৪
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মহাসচিব ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসলামাবাদের একটি আদালত।
শনিবার (৬ জুলাই) ইসলামাবাদের সারগোধার সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) এ পরোয়ানা জারি করে।
বিষয়টি স্বয়ং বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব নিশ্চিত করে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেন, কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তারা আমাকে গ্রেফতার করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি জামিনযোগ্য ধারার হওয়া সত্ত্বেও কিছুক্ষণ আগে মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে আমার ইসলামাবাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।
তিনি কর্তৃপক্ষের নিন্দা করে বলেন, আমরা সন্দেহাতীতভাবে সবার কাছে প্রমাণ করবো বর্তমানে পাকিস্তানে আইনের শাসন নেই। পাশাপাশি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ক্ষমতায় ফিরে না আসা পর্যন্ত তার দল সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলেও এই নেতা প্রতিশ্রুতি দেন।
ইমরান খান ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। চার বছরের মাথায় ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সারা দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে পিটিআই-এর নেতারা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি মামলা লড়ছেন ইমরান খান। কারাগারে থাকলেও পাকিস্তানে ইমরান খান ও তার দলের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় ২০২৩ সালের ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওইদিন তাকে টেনেহিঁচড়ে নেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এমন প্রতিক্রিয়া আগে কখনো দেশটিতে দেখা যায়নি।
দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন ইমরানের বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা। ওইদিন পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়। এ ঘটনা ছিল দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য একটি ধাক্কা।
ঘটনার দিন লাহোর শহরে অবস্থিত এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলের বাসভবনে আগুন দেয়া হয়। রাজধানী ইসলামাবাদের রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সড়কের চিহ্নগুলো খুলে ফেলেন। আগুন জ্বালান। ইটপাথর ছোড়েন। ভাঙচুর করা হয় বহু সামরিক স্মৃতিস্তম্ভ। এর জেরে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন দলও ত্যাগ করেন।
পিটিআই নেতাদের দাবি, তাদের কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো ভিত্তিহীন। তারা রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার।
সূত্র : জিও নিউজ ও অন্যান্য
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা