‘দেশদ্রোহিতা’ আইন পরিবর্তন ভারতের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুলাই ২০২৪, ১৩:১৯
ঔপনিবেশিক আমলের আইন বদলে সোমবার নতুন আইন প্রণয়ন করলো ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বলেছে, এই আইন দেশকে আরো ন্যায়পরায়ণ করে তুলবে। তবে, বিরোধী দল বলেছে, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলা দেয়ায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মোদির আগের দফায় এই নতুন আইনকে অনুমোদন দিয়েছিল সংসদ এবং সরকার বলেছিল, তাদের লক্ষ্য ‘সুবিচার দেয়া, শাস্তি দেয়া নয়।’ সরকার বলছে, এই আইন দরকার ছিল কারণ এক শতকের বেশি সময় ধরে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ঔপনিবেশিক আমলের এই আইন।
যে প্রধান বদলগুলো আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- দেশদ্রোহ আইনের প্রতিস্থাপন কেন না এই আইনকে নির্যাতন ও অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে প্রায়শই ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশ আমলে এই আইন প্রয়োগ করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জেলে ভরা হতো।
নতুন আইনে (ভারতীয় দণ্ডবিধি, ভারতীয় প্রমাণ আইন ও ফৌজদারি প্রক্রিয়াগত বিধি সরানো হয়েছে) দেশদ্রোহ আইনের বদলে এমন এক ধারা যোগ করা হয়েছে; যেখানে বলা হয়েছে, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও অখণ্ডতা’র জন্য বিপজ্জনক কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদদাতাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রায় ৭৭ বছর পর আমাদের ফৌজদারি ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দেশজ হয়ে উঠছে এবং ভারতীয় নীতি-নৈতিকতার ভিত্তিতেই এটি পরিচালিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শাস্তিদানের বদলে এখন ন্যায়বিচার হবে।’
অমিত শাহ বলেন, সোমবারের আগে বাতিল বা পুরনো আইনে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলাগুলো বহাল থাকবে।
পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, নতুন আইনে প্রথম মামলা নথিভুক্ত হয়েছে গোয়ালিয়রে (সেখানে এক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে)। মাঝরাতের ১০ মিনিট পরে এই মামলা দায়ের হয়েছে।
শাহ বলেন, ‘তিন মাস ধরে এই আইন নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে…কয়েক শতক পর ঘটা এই বিরাট অগ্রগতিতে কোনো রাজনৈতিক রঙ চাপানো ঠিক নয়। এই আইনকে সমর্থন করতে আমি বিরোধীদের অনুরোধ করবো।’
বিরোধী দল কংগ্রেসের সাংসদ পি চিদাম্বরম বলেন, সংসদের আগের অধিবেশনে এই আইন পাশ করার আগে কোনো ‘কাজের বিতর্ক’ হয়নি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা