১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুয়েতে নিহত ৪৫ ভারতীয় নাগরিকের লাশ নিয়ে বিমানের যাত্রা

কুয়েতে নিহত ৪৫ ভারতীয় নাগরিকের লাশ নিয়ে বিমানের যাত্রা - ছবি : সংগৃহীত

কুয়েতের বহুতল আবাসনে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত ৪৫ জন ভারতীয়ের লাশ ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতে।

শুক্রবার ভোরে বিমানবাহিনীর একটি বিমান কুয়েত থেকে কেরালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সকাল ১১টার দিকে বিমানটির কোচি বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। তারপর বিমানটির দিল্লির উদ্দেশে যাওয়ার কথা। বিমানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহও।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের বেশিভাগিই কেরালা এবং দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর বাসিন্দা। তাই বিমান প্রথমে কোচি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। যে সকল নিহত শ্রমিকের বাড়ি উত্তর এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে, তাদের লাশ নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে বিমানটি। বিমানবন্দরেই রাখা থাকছে লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্স।

কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৫ ভারতীয়দের লাশ কোচি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ, যিনি কুয়েত প্রশাসনের সাথে কথা বলে লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, তিনিও এই বিমানে রয়েছেন।

কুয়েত প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ৪৫ জন ভারতীয়ের লাশ শনাক্ত করতে পেরেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা। লাশগুলো বেশিভাগই আগুনে অর্ধদগ্ধ হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কাতার প্রশাসন।
ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত ভারতীয়দের মধ্যে ২৩ জন কেরালা, সাতজন তামিলনা়ড়ু, তিনজন উত্তরপ্রদেশ, দু’জন ওড়িশা এবং একজন করে বিহার, পাঞ্জাব, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

এর আগে, বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই আবাসনে মূলত থাকেন শ্রমিকেরা, যাদের বেশিভাগই ভারতীয়। প্রথমে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৯। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রায় ৫০ জনকে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।

কুয়েতের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।

কুয়েত প্রশাসন সূত্রে খবর, আবাসনটির একতলায় প্রায় ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। শ্রমিকদের ঘরগুলোর মাঝে ছিল কার্ডবোর্ড। দাহ্যবস্তু থাকার ফলেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আলজ-সাবাহ্ এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে অগ্রগতির জন্য কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন হোটেলটির মালিককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement