২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ওড়িশার প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক হয়ে ইতিহাস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তরুণীর

ওড়িশার প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক হয়ে ইতিহাস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তরুণীর - ছবি : সংগৃহীত

ওড়িশার বারাবতী-কটক বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন সোফিয়া ফিরদৌস নামের ৩২ বছর বয়সী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এক তরুণী। তিনি ওড়িশার প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক।

ওই আসনে বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে ৮০০১ ভোটে হারিয়েছেন সোফিয়া। এর আগে ওড়িশায় কোনো মুসলিম নারী বিধায়ক হননি।

সোফিয়ার কাছে রাজনীতি নতুন নয়। তিনি রাজনৈতিক পরিবারেরই মেয়ে। সোফিয়ার বাবা হলেন মোহাম্মদ মোকিম। তিনি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।

২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটে মোকিমের বদলে সোফিয়াকে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। তাদের পরিকল্পনা সফলও হয়েছে।

কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করেন সোফিয়া।

২০২২ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) থেকে এগ্‌জ়িকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম পাস করেছেন সোফিয়া।

২০২৩ সালে কনফেডারেশন অফ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়ার ভুবনেশ্বর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন সোফিয়া। এই সংগঠনের নারী শাখারও প্রধান ছিলেন তিনি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে বাবার সংস্থা ‘মেট্রো বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সাথে যুক্ত ছিলেন সোফিয়া। তার স্বামী মিরাজ উল হক বিশিষ্ট শিল্পপতি।

সিআইআই-ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের ভুবনেশ্বর বিভাগেরও কো-চেয়ারপারসন তিনি।

বারাবতী-কটক বিধানসভা আসনেই ১৯৭২ সালে জয়ী হয়েছিলেন নন্দিনী শতপথী। তিনি ওড়িশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী। অতীতে সোফিয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নন্দিনীর দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত।

২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নবীন পট্টনায়েক এবং তার দল বিজেডির ভরাডুবি হয়েছে। ২৪ বছর ধরে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নবীন। এবার ভোটে হেরেছেন।

ওড়িশায় মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪৭। তার মধ্যে ৭৮টি আসনে জয়ী বিজেপি।

লোকসভা নির্বাচনেও ওড়িশায় বিজেপির জয়জয়কার। ২১টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে তারা পেয়েছিল ১২টি আসন।

বাকি একটি আসনে জয়ী কংগ্রেস। বিজেডি একটি আসনও পায়নি। সূত্র : আনন্দবাজার

 


আরো সংবাদ



premium cement