সরকার গঠনের আগেই বিশ্বাসঘাতকতার শঙ্কায় বিজেপি!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুন ২০২৪, ০৬:০৪
ভারতে সরকার গঠনের জোটে ভাঙনের যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে এনডিএর (বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট) বৈঠকে যোগ দিলেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সারিতেই রাখা হলো তাদের আসন। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন একনাথ শিন্ডে, অজিত পওয়ার থেকে শুরু করে এনডিএর যাবতীয় শরিক দল। এনডিএ’র এই ঐক্যের ছবি খানিকটা হলেও স্বস্তি দেবে বিজেপি নেতৃত্বকে।
শুক্রবার পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে এনডিএর সব শরিকের এমপিদের বৈঠক ডাকা হয়। তাতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবনির্বাচিত এমপিরা উপস্থিত হন। যোগ দেন শরিকদের শীর্ষ নেতারাও।
ওই বৈঠকেই মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির নাম প্রস্তাব করেন রাজনাথ সিং। অমিত শাহ, নীতীন গড়করি থেকে শুরু করে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুরা সবাই ওই প্রস্তাবে সায় দেন। সর্বসম্মতিক্রমে নেতা নির্বাচিত হন মোদি। শুক্রবার বিকালেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গড়ার দাবি জানায় বিজেপি। আগামীকাল রোববার সন্ধ্যায় জাঁকজকম অনুষ্ঠানে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মোদি। এদিন সরকারিভাবে এ কথা জানিয়েছেন, বিদায়ী সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে এ পর্যন্ত সংখ্যালঘু সরকার, বা মিলিজুলি সরকার চালাতে হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্য নিয়ে নেমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও জোটেনি গেরুয়া শিবিরের ভাগ্যে। সরকার চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এমন দুই ‘বন্ধু’র ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যারা অতীতে একাধিকবার তার সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন। নীতীশ কুমার বা চন্দ্রবাবু নাইডু কেউই যে নেতা হিসেবে মোদিকে বিশেষ পছন্দ করেন না, সেটা কারো অজানা নয়।
তবে এদিনের বৈঠকে শরিকরা উপস্থিত থেকে যেভাবে মোদির নেতৃত্বে আস্থা দেখালেন, তাতে অন্তত এই মুহূর্তে বিজেপি নেতৃত্ব খানিকটা আশ্বস্ত হবেন। তাছাড়া নীতীশ-নায়ডুদের ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ বার্তা, খানিক ধাক্কা দেবে বিরোধীদের সরকার গড়ার আশাতেও।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা