২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কন্যাকুমারীতে মোদির ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানও রক্ষা করতে পারল না বিজেপিকে!

কন্যাকুমারীতে মোদির ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানও রক্ষা করতে পারল না বিজেপিকে! - সংগৃহীত

সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ করেই সোজা তামিলনাড়ুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ শিলা, ‘ধ্যানমণ্ডপম’-এ যোগমগ্ন হন। ধ্যান করেন টানা ৪৫ ঘণ্টা ধরে। তবে তার সেই ধ্যানও তামিলভূমে রক্ষা করতে পারল না বিজেপিকে। তামিলনাড়ু রইল পদ্ম-শূন্যই। এনডিএ জোট মাত্র একটি আসন পেয়েছে।
অর্থাৎ, ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে- ভোটপ্রচারের সময় তামিল আবেগ উস্কে দিয়েও লাভ হয়নি মোদি-অমিত শাহদের।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে এ বারও একপেশে লড়াই হলো। রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে দাপট দেখাল ফলাফলে। তাদের ঝুলিতে গেল ২২টি আসন। কংগ্রেস পেল ন’টি আসন। ২০১৯ সালের মতো দু’টি করে আসন পেল সিপিএম এবং সিপিআই। ‘ইন্ডিয়া’র অন্য দুই শরিক দল একটি করে আসন পেল এ বারের ভোটে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে শূন্যে নেমে গেল।

হিন্দিবলয়ে দাপট থাকলেও বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলোতে দক্ষিণ ভারতে তেমন ‘প্রভাব’ ফেলতে পারেনি বিজেপি। তাই এ বারের নির্বাচনে দক্ষিণ ভারতে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে কোনো কমতি রাখতে চায়নি পদ্মশিবির। বিশেষত, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য নিয়ে আলাদা হিসাবনিকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহেরা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তামিলভূমে দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু এ বার সেই অঙ্ক পাল্টাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মোদি-শাহ। কিন্তু এই জুটির জাদু কাজ করল না।

ভোটঘোষণার পর থেকেই বার বার তামিলনাড়ু গিয়েছেন মোদি। রোড-শো থেকে জনসভা, বাদ পড়েনি কিছুই। তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতৃত্বও আদাজল খেয়ে নেমেছিলেন ভোটপ্রচারে। মোদি প্রতিটি সভা থেকেই চেষ্টা করে গিয়েছেন তামিল আবেগ উস্কে দিতে। তা করতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন কচ্চতীবু দ্বীপকে। ভোটের মুখে মুখেই এই দ্বীপ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) বলে প্রাপ্ত সেই রিপোর্ট সামনে রেখেই কংগ্রেস এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে নিশানা করেছিলেন মোদি। জনসভার ভাষণে তো বটেই, সমাজমাধ্যমেও কচ্চতীবু দ্বীপ নিয়ে লেখালিখি করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে।

ভারতের সংসদের নিম্ন-কক্ষ লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে কোনো দলকে ২৭২টি আসন পেতে হয়। বিজেপি এককভাবে সেই সংখ্যা থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে। তবে এনডিএ জোট সঙ্গীদের নিয়েই যে তাদের সরকার গড়তে হবে।

জানা গেছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯১টি আসন পেতে চলেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আসন সংখ্যা ২৩৪। কংগ্রেস ২০১৯ সালে ৫২টি আসন পেয়েছিল আর এবার তারা জিতছে ৯৯টি আসনে।


আরো সংবাদ



premium cement