২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতে বিরোধীদের উত্থানে বড় পতন শেয়ারবাজারে!

ব্যাপক পতন ঘটছে ভারতের শেয়ারবাজারে - ছবি : রয়টার্স

ভারতে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগণনা যত এগোচ্ছে, ততই পতন হচ্ছে শেয়ারবাজারে (সেনসেক্স)। পতন হচ্ছে নিফটি সূচকেরও। মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। আজ মঙ্গলবার সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৫০০০ পয়েন্ট।

দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগণনার পরিসংখ্যান বলছে, ২৯২টি লোকসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোট ‘এনডিএ’। অপরদিকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ এগিয়ে ২৩৩টি আসনে। মনে করা হচ্ছে, তার প্রভাবই পড়ছে সেনসেক্সে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৬.৭১ শতাংশ। এর ফলে ৫,৬০২ পয়েন্ট পতনের পর সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৭১,০০২ পয়েন্টে। করোনা মহামারীর পর থেকে এক দিনে সেনসেক্সের এতটা পতন হয়নি।

দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নিফটির পতন হয়েছে ৬.৮৯ শতাংশ। প্রায় ১,৬৩৪ পয়েন্টের পতন হয়েছে।

শেষ বার ২০২০ সালের মার্চে এতটা পতন হয়েছিল সেনসেক্স সূচকের।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ২০০০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। ১১টা ১০ মিনিটে নাগাদ ৪,০০০ পয়েন্ট পতন হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় নিফটি সূচকের পতন হয় ৩.০৩ শতাংশ। তার পরে নিফটি সূচক দাঁড়ায় ২২,৫৫৭। এস অ্যান্ড পি বিএসই সূচকের পতন হয় ৩ শতাংশ। সকাল সাড়ে ৯টায় তা দাঁড়ায় ৭৪,১০৭-এ।

এদিন কেনাবেচা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে লগ্নিকারীরা হারান প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে নিফটির পতন হয় ৫.০৭ শতাংশ।

সোমবার শেয়ারবাজার উঠেছিল নজিরবিহীন ভাবে। ৭৬ হাজারের ঘরে শেষ করেছিল দৌড়। নিফটিও নজির গড়ে ২৩ হাজারে পা রেখেছিল। উঠেছে ৭৩৩। দুই সূচকই তিন বছরের মধ্যে এক দিনে সব থেকে বেশি উত্থান দেখেছে। লগ্নিকারীরা ঘরে তুলেছিলেন ১৪ লাখ কোটি টাকা। লগ্নিকারী এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, বুথফেরত সমীক্ষার প্রভাবেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল সেনসেক্স এবং নিফটি।

বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ দাবি করেছিলেন, ওই উত্থানের ফলে আরো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে শেয়ারবাজার। সমীক্ষা না মিললে পতন হবে। সেই আশঙ্কাই কি সত্যি হতে চলেছে?

সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement