পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন্ড : তারকা প্রার্থীরা কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ জুন ২০২৪, ১৪:০২
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে এবার যেমন সিনেমা-সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেককেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি, তেমনই রাজনীতির মাঠে তারকা প্রার্থীও ছিলেন অনেকে।
দেখে নেয়া যাক দুপুর ১২টায় তারা কে এগিয়ে বা পিছিয়ে আছেন?
বীরভূম আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের তিনবারের সংসদ সদস্য অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের চেয়ে প্রায় ৫৩ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
বলিউড ছবির একসময়ের নায়ক শত্রুঘ্ন সিনহা এবার আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি বিজেপির সাবেক সংসদ সদস্য, বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার চেয়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
পাশের কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল সাবেক ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। তার বিপরীতে বিজেপির হেভিওয়েট রাজনৈতিক তারকা প্রার্থী ছিলেন দলের সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজাদ এখন ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ছয় হাজার ভোটে এগিয়ে।
মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে। তার বিপরীতে ছিলেন বিজেপির বিধানসভা সদস্য ও ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। মালিয়া এখন এগিয়ে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে।
ঘাটাল কেন্দ্রে বাংলা সিনেমার দুই হিরো দেব ও হিরণ মুখোমুখি লড়াই করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেব, যার পোষাকি নাম দীপক অধিকারী, তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হিরণ চ্যাটার্জীর থেকে আট হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
হুগলি কেন্দ্রে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ খ্যাত রচনা ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন, বিপরীতে ছিলেন বিদায়ী সংসদ সদস্য বিজেপির লকেট চ্যাটার্জি। রচনা ব্যানার্জি ১৭ হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
পাশের কেন্দ্র শ্রীরামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জির বিপরীতে তারই সাবেক জামাই কবির কৃষ্ণ বসুকে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। কল্যাণ ব্যানার্জি প্রায় আট হাজার ৮০০ ভোটে এগিয়ে আছেন। এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরও নজর কেড়েছিলেন কিছুটা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ধর এই কেন্দ্রে তিন নম্বরে রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ভোট পেয়ে।
রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের মধ্যে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য সুদিপ ব্যানার্জির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বহু দশক ধরে তারই দলীয় সতীর্থ তাপস রায়। মাস কয়েক আগেই রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সুদিপ ব্যানার্জি ১৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
কলকাতার আরেকটি কেন্দ্র- কলকাতা দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায় গত লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন। এবার তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রি চৌধুরির থেকে প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
পাশের কেন্দ্র যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস অভিনেত্রী সায়নি ঘোষ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলির থেকে ৭৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
দমদম কেন্দ্রে ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ও বেশ কয়েকবারের সংসদ সদস্য সৌগত রায়।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সাথে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অভিজিৎ দাসের চেয়ে দুই লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, কৃষ্ণনগরের সাবেক রাজ পরিবারের বধূ অমৃতা রায়ের চেয়ে ৪৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
বিষ্ণুপুর আসনে বিজেপির বিদায়ী সংসদ সদস্য সৌমিত্র খান তার সাবেক স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলের চেয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
তমলুক কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী, সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের চেয়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
মতুয়া অধ্যুষিত আসন বনগাঁ কেন্দ্রে বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিশ্বজিত দাসের থেকে প্রায় ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
সূত্র : বিবিসি