ভারতের নির্বাচনে ব্যবহৃত হচ্ছে, এআই, ডিপফেক, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৩
ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠী, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের বিশাল সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে প্রচার ও প্রসারের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ডিপফেক ভিডিও থেকে শুরু করে প্রভাব বিস্তারকারী সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল যুগের সমস্ত ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
যে দেশে ৮০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত, সেখানে গণতন্ত্রের ওপর এগুলোর কী প্রভাব পড়বে?
এমন একটি দেশে, যেখানে প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রায় ২০ লাখ ভোটার রয়েছে, সেখানে জাদৌন এবং তার টিম এআই দিয়ে এমন অ্যাভাটার তৈরি করেছে যা ভোটারদের নাম ধরে সম্বোধন করে তাদের সমর্থন চেয়ে ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পাঠায়। তারপর রয়েছে এআই-চালিত চ্যাটবট যা রাজনৈতিক নেতাদের কণ্ঠ অনুকরণ করে ভোটদাতাদের আহ্বান জানায়।
জেনে শুনে ভুল তথ্য প্রচার হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গত মাসে ভারতের ধাপে ধাপে নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর ভাইরাল হওয়া দু’টি ভিডিওতে বলিউড তারকা রণবীর সিং ও আমির খানকে সরকারের সমালোচনা করতে এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের জন্য ভোট চাইতে দেখা গেছে। দু’টিই ছিল ডিপফেক।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পরোক্ষভাবেও কাজে লাগানো হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে, যেখানে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের আধিপত্যের হিন্দি এলাকা থেকে অনেক দূরে থাকা এই রাজ্যে তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এআই-এর তৈরি সংকলনে মোদির কন্ঠে জনপ্রিয় তামিল গান তার নির্বাচনী প্রচার অভিযানে সহায়তা করেছে।
রাজ্য ভিত্তিক ফ্যাক্ট-চেকার মুরলীকৃষ্ণন চিন্নাদুরাই এ কথা বলেন।
ভারতের নির্বাচনে এআই একমাত্র নতুন উপাদান নয়। ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশে রাজনৈতিক দলগুলোও ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য নির্বাচনী প্রচার অভিযানের জন্য প্রভাব বিস্তারকারীদের একত্রিত করেছে।
বিজেপির রাজ্য ইউনিটগুলো সরকার যে কাজ করেছে সে সম্পর্কে বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রভাব বিস্তারকারীদের নিয়ে বৈঠক করছে। গত এক বছরে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তারকারীদের সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়িয়েছেন।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা