২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - ছবি : সংগৃহীত

ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন-এর দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)-এর একদল গবেষক। সম্প্রতি ওই গবেষণার রিপোর্টে ওঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনেরও যথেষ্ট ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক এজেডডি১২২২-র (ভারতে নাম কোভিশিল্ড) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছিল, এই টিকা নিয়ে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে, এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। একাধিক মামলাও হয়। এর পরে প্রতিষেধকটি বাজার থেকে তুলে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এবার কোভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠল।

বিএইচইউ-এর গবেষকদের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন এ রকম ৯২৬ জনের ওপরে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের দেহে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চর্মরোগ, স্ট্রোক, গিলান-বারি সিন্ড্রোম ও রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘অ্যাডভার্স ইভেন্ট অব স্পেশাল ইন্টারেস্ট’ বা ‘এইএসআই’ বলা হয়। এ ছাড়াও নারীদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত নানা জটিলতা দেখা গেছে।

সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-টিকার প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল ভারতে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছিল কোভিশিল্ড টিকা। ব্রিটিশ আদালতে সংস্থার তরফে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়। আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল কোভিশিল্ডের প্রভাবে রক্ত জমাট বাঁধা বা প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন মানুষ।

ভারতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারত সরকারের উদ্যোগে দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা দেয়া হয়েছিল ভারতীয়দেরকে। বিএইচইউ-এর গবেষকেরা জানিয়েছেন, সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৬৩৫ জন নাবালক এবং ২৯১ জন প্রাপ্তবয়স্ক। ২০২২ থেকে ২০২৩-এর অগস্ট মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০৪ জন সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে এমন কিশোর-কিশোরী (৪৭.৯ শতাংশ) এবং ১২৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক (৪২.৬ শতাংশ) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৬৩৫ জনের ৪.৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর মধ্যে স্নায়ুরোগ, ১০.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর মধ্যে চর্মরোগ এবং ১০.২ শতাংশের কিশোর-কিশোরীর দেহে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা গেছে। এ ছাড়া, ২৯১ জন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাধারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮.৯ শতাংশ। পেশি এবং হাড়ের সমস্যা দেখা গেছে ৫.৮ শতাংশের মধ্যে এবং স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫.৫ শতাংশ।

গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নারীদের ক্ষেত্রে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৪.৬ শতাংশ নারী দেহে ভ্যাকসিনের প্রভাবে ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গেছে। এ ছাড়াও ২.৭ শতাংশ নারীর মধ্যে চোখের সমস্যা এবং ০.৬ শতাংশের মধ্যে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা গেছে। ০.৩ শতাংশের স্ট্রোক এবং ০.১ শতাংশের মধ্যে গিলান-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস) দেখা গেছে। এটি এমনই একটি বিরল রোগ, যার প্রভাবে দেহ ধীরে ধীরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল আশুলিয়ায় টানা ৩২ ঘণ্টায়ও মহাসড়ক ছাড়েনি শ্রমিকরা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের রয়টার্সের মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানালো সিএমপি চাঁদাবাজি মামলায় তারেক রহমানসহ ৮ জনের অব্যাহতি ভিজিডির চাউল নিতে এসে ট্রলির ধাক্কায় ২ নারী নিহত মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে খালেদা জিয়া আইনজীবী সাইফুল হত্যা : আটক ৩০, দুই মামলার প্রস্তুতি সমস্ত সভ্যতার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাবেক কৃষিমন্ত্রী ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

সকল