রাজীব গান্ধী হত্যা : জেল খাটার পর নিজ দেশে ফিরলেন শ্রীলঙ্কার ৩ নাগরিক

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় প্রায় তিন দশক ধরে সাজা ভোগ করার পর মুক্তি পেয়েছে সাতজন। তাদের মধ্যে তিনজন শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা। বুধবার তারা শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন।

তারা হলেন- ভি মুরুগান ওরফে শ্রীকরণ, এস জেয়াকুমার ও বি রবার্ট পেয়াস। বুধবার শ্রীলঙ্কার একটি বিমানে কলম্বোর উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।

১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীপেরামবুদুরের কাছে নিষিদ্ধ এলটিটিই’র আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সেই ঘটনায় সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে নলিনীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া দিয়েছিল আদালত।

তবে সুপ্রিম কোর্ট পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পরে ২০২২ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়। তখন তারা প্রায় ৩০ বছর সাজা ভোগ করেন। এদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে মুক্তির পরে তিরুচিরাপল্লীর একটি বিশেষ শিবিরে রাখা হয়েছিল।

তামিলনাড়ু সরকার গত মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্টকে জানিয়েছিল যে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন মুরুগান এবং বাকিদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নথি মঞ্জুর করেছে এবং ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) অনুমতি দিলে তারা ফিরে যেতে পারবেন। এরইমধ্যে মুরুগান পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছিলেন।

এছাড়াও, মুরুগানের স্ত্রী নলিনীও তার স্বামীকে ‘অল কান্ট্রি পাসপোর্ট’ দেয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা হাইকমিশনে হাজির হওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি মেয়ের সাথে ব্রিটেনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আরো এক শ্রীলঙ্কার নাগরিক। গত মাসে তিনি মারা যান। তিনি হলেন সুথেন্দ্ররাজা সান্তান। গত মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মারা গিয়েছিলেন তিনি।

আর এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত বাকি সবাই ভারতেরই নাগরিক। তারা হলেন- পেরারিভালান, রবিচন্দ্রন এবং নলিনী। তারা মুক্তি পেয়ে নিজেদের বাড়িতে রয়েছেন।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিক দেশে ফেরার আগে বুধবার নলিনী বিমানবন্দরে গিয়ে মুরুগান এবং অন্যদের সাথে দেখা করেন।

উল্লেখ্য, রাজীব-পত্নী ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তাদের সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগেই দোষীদের মুক্ত করার পক্ষে কথা বলেছিলেন। তারা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, আসামিদের মুক্ত করে দেয়া হোক।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস