২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন দিলীপ!

দিলীপ ঘোষ - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ ছিল আরো প্রায় এক বছর চার মাস। তার এত আগেই দিলীপ ঘোষের অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিপর্যয় দিলীপের পদ হারানোর অন্যতম বড় কারণ বলে দলের অনেকের মত।

নীলবাড়ির লড়াইয়ে নিশ্চিত জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে ২৯৪-এর মধ্যে বিজেপি ৭৭টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হিসেবের ধারেকাছে ছিল না ওই সংখ্যা। তারা মনে করছেন, বিধানসভা ভোটের সময়, এবং তার আগেও, দিলীপ ঘোষের লাগাতার আলটপকা বিতর্কিত মন্তব্য ভালোভাবে নেননি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। রাজ্য বিজেপির অনেকে এটা বলছেন।

এ রাজ্যে বিজেপির পুরনো নেতাদের কেউ কেউ শুধু নন, নতুন যারা যোগ দিয়েছিলেন, তাদেরও অনেকে দিলীপের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। পুরনোদের মধ্যে সদ্য বিজেপিত্যাগী বাবুল সুপ্রিয় একজন। নতুনদের মধ্যে এখনকার প্রভাবশালী রাজ্য নেতারাও আছেন।

তবে, দিলীপ অনুগামীদের অনেকে বলছেন, ভোটে হারের দায় রাজ্য নেতৃত্বের থেকে অনেক বেশি কেন্দ্রীয় নেতাদের। তারা গোটা নির্বাচন-পর্বে যতটা মতামত নিয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি নির্দেশ দিয়েছেন। কারো মতে, কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতা ঢাকতে ‘বলির পাঁঠা’ করা হলো দিলীপকে।

তবে উল্টো দিকের কথা, তাই যদি হতো, তবে ২ মে-র পরই তাকে সরিয়ে দেয়া হতো। সাড়ে চার মাস সময় নেয়া হতো না।

দিলীপকে সরানো নিয়ে আর একটা মত হলো ‘উত্তরবঙ্গ তত্ত্ব’। ২০১৯-এ দক্ষিণবঙ্গে যে ফল বিজেপি করেছিল তা ২০২৪-এ হবে না বলেই মনে করছেন মোদি-শাহ-নড্ডারা। কিন্তু উত্তরবঙ্গে অবস্থা ভালো। মন্দের ভালো হিসেবে তাই এটাকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন তারা। ওই কারণেই উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্য সভাপতি করে পরের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হলো।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement