০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

পাঞ্জশিরে অভিযান, একটি জেলা দখল করে নিয়েছে তালেবান

পাঞ্জশিরে অভিযান, একটি জেলা দখল করে নিয়েছে তালেবান - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের দুর্গম পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান বাহিনী। তারা ইতোমধ্যেই একটি জেলা দখল করার কথা ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তালেবান বাহিনী এখন সেখানে অভিযান শুরু করেছে।

অবশ্য নতুন এক অডিও বার্তায় তালেবানের শীর্ষ আলোচক আমির খান মোত্তাকি 'এখনো বিদ্রোহ করতে থাকা লোকজনকে' বোঝাতে বা তাদের ছেড়ে চলে আসার জন্য পাঞ্জশিরের অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা কিছুই করতে পারবে না। ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তায়ই তারা কিছু করতে পারেনি। তারা এখনো করতে পারবে না। তিনি আবারো সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমার কথা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, পাঞ্জশির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কিছু সময় আলোচনা চলছিল। কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি।

তালেবানের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট অনুযাযী, তারা চার দিক থেকে পাঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শুতুল জেলা দখল করেছে।

এদিকে তালেবানবিরোধী পক্ষের মুখপাত্র ফাহিম দস্তি বলেন, তালেবানের একটি বড় হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে। তালেবানের অনেক লোক হতাহত হয়েছে।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক

সরকারের রূপরেখা ঘোষণা তালেবানের : আখুনজাদাই চালাবেন দেশ
আফগানিস্তানের পরবর্তী সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেছে তালেবান। বুধবার তারা জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদার হাতেই দেশের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব থাকবে। তবে একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী তার অধীনে থাকবেন।

গ্রুপটি জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের আলোচনা শেষ হয়েছে। তারা শিগগিরই এক ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

তালেবানের সংস্কৃতি কমিশনের সদস্য আনামুল্লা সামানগানি বলেন, নতুন সরকারের আলোচনা প্রাায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়েও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারে বিশ্বাসীদের কমান্ডারের (আখুনজাদা) উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি হবেন সরকারের প্রধান। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

তালেবানের সরকার সম্ভবত ইরানের মডেল অনুসরণ করবে।

ইরানে একজন প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভা থাকলেও সর্বোচ্চ নেতার ধর্মীয় কর্তৃত্ব থাকে। তিনিই দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। তিনিই নীতি নির্ধারণ করেন, প্রেসিডেন্টও তার অধীনে থাকেন। রাষ্ট্রীয় যেকোনো বিষয়ে তার মতামতই চূড়ান্ত।

আফগানিস্তানের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, নতুন সরকারব্যবস্থা না হবে প্রজাতন্ত, না হবে আমিরাত। এটা হবে ইসলামি সরকার। হায়বাতুল্লাহ থাকবেন সরকারের শীর্ষে। তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। তিনি হবেন আফগানিস্তানের নেতা। তার অধীনে একজন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট থাকবেন।

সূত্র : আল আরাবিয়া


আরো সংবাদ



premium cement