হেরাতের পর কান্দাহারের পতন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ আগস্ট ২০২১, ০৭:১১, আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২১, ০৭:৪০
তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের কান্দাহার নগরী দখল করে নিয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরী জয়ের ফলে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১২টি তালেবানের দখলে চলে এলো। এর আগে তালেবান বাহিনী দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম নগরী হেরাত এবং কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ নগরী গজনি দখল করে।
বৃহস্পতিবার একই দিনে এই তিন নগরী জয় আফগানিস্তানে নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
গজনি দখল করার ফলে আফগান রাজধানী কাবুলের সাথে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেল।
রাজধানী কাবুল এখন পর্যন্ত সরাসরি হুমকির মুখে না পড়লেও অন্যান্য স্থানে তালেবানের অগ্রগতি আফগান সরকারকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে।
আলজাজিরার চারলট বেলিস রাজধানী কাবুল থেকে জানান, হেরাত জয় তালেবানের জন্য বিরাট এক সাফল্য এবং আফগান সরকারের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড় ধরনের অভিযান চালায় তালেবান। তারা তারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিশাল এলাকা দখল করে নেয়।
বেলিস বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী কান্দাহারে লড়াই চলছে। এছাড়া বাদঘিশ প্রদেশেও যুদ্ধ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জনগণ তালেবানকে স্বাগত জানাচ্ছে
এদিকে তালেবান মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেছেন, বড় বড় নগরী দ্রুততার সাথে পতন ঘটনা বোঝা যাচ্ছে যে আফগানরা তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে।
তবে তিনি আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেন, আমরা রাজনৈতিক পথ ত্যাগ করিনি।
এদিকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আফগান সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে তালেবানের কাছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও ডেইলি সাবাহ
আফগান জঞ্জাল সরাতেই শুধু পাকিস্তানকে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের : ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া ‘জঞ্জাল’ দূর করতেই কেবল তার দেশকে প্রয়োজনীয় মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। রাজধানী ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনে বিদেশী সাংবাদিকদের সাথে আলাপে তিনি এই অভিযোগ করেন। আফগান সরকারের সাথে ভেঙে যাওয়া শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য তালেবানের ওপর পাকিস্তান যাতে প্রভাব খাটায় সে জন্য দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে ওয়াশিংটন। ইমরান খান বলেন, ‘২০ বছর ধরে সামরিক সমাধান খোঁজার পর তা না পেয়ে তাদের ফেলে যাওয়া জঞ্জালের নিষ্পত্তি করতেই কেবল পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়।’
তালেবানের সহায়তার অভিযোগ নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে ইসলামাবাদের দীর্ঘ দিনের তিক্ততার সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, আফগানিস্তানে কোনো পক্ষ নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। ইমরান খান বলেন, ‘আমার মনে হয় আমেরিকানরা এখন ভারতকে কৌশলগত সঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি মনে করছি এ কারণেই পাকিস্তানের সাথে এখন ভিন্ন আচরণ করা হচ্ছে।’ ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কোনো রাজনৈতিক সমাধান বেশ কঠিন মনে হচ্ছে। তালেবান নেতারা পাকিস্তানে যাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে একটি বন্দোবস্তে পৌঁছার চেষ্টা করেছেন।
তালেবান নেতাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের শর্ত, যত দিন আশরাফ গনি (আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট) আছেন, আমরা (তালেবান) আফগান সরকারের সাথে কোনো আলোচনায় যাবো না।’ তালেবান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত পুতুল সরকার মনে করে। যে কারণে গত সেপ্টেম্বরে কাবুলের আলোচকদের সাথে তালেবানের শান্তি আলোচনারও কোনো অগ্রগতি হয়নি। আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা দুই পক্ষকে আলোচনায় বসানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা