পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আব্বাসকে নিয়ে নতুন মেরুকরণ!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৭:৪৬
রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। নতুন নতুন নির্বাচনী জোটের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতাভিত্তিক আনন্দাবাজার পত্রিকার একটি প্রতিবেদন এখানে প্রকাশ করা হলো।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে সঙ্গে নিয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে ইচ্ছুক বামেরা। নিজেদের সেই সিদ্ধান্তের কথা জোট শরিক কংগ্রেসকে জানালেন বাম নেতৃত্ব। তবে আব্বাসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে একমত হলেও, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস।
রোববার সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৈঠক বসেন সিপিএম-কংগ্রেস নেতারা। ওই বৈঠকেই আব্বাস সিদ্দিকির নতুন দল ‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট’-কে (আইএসএফ) নিজেদের জোটসঙ্গী করার কথা কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানায় বামেরা। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা তাতে সায় দিলেও, নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা তারা জানাননি। অন্য দিকে, বামেরা চাইছে কংগ্রেসকে ব্রাত্য করে নয়, তাদের সাথে একমত হয়েই আব্বাসকে সঙ্গে নেবে তারা। এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘আজকের আলোচনায় আইএসএফে-র কথা আমরা কংগ্রেসকে বলেছি। কংগ্রেস বলেছে, আপনারা ওটা আলোচনা করুন। আমরা বলেছি, দু’পক্ষ মিলেই আলোচনা করতে হবে। আলাদা ভাবে নয়। আইএসএফ-এর সঙ্গে বোঝাপড়া হোক এটা যেমন আমরা চাই, তেমনি এতে কংগ্রেসকেও প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি।’’
বাম-কংগ্রেস জোটে আসতে চেয়ে বিমান বসুকে চিঠি দিয়েছিলেন আব্বাস। প্রত্যুত্তরে একমত জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিমানও। তবে এ নিয়ে আব্বাসের সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনা হলেও, তাদেরকে সরকারি ভাবে কোনো চিঠি দেয়া হয়নি বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তার বক্তব্য, ‘‘আব্বাসের কাছ থেকে কোনো চিঠি আসেনি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তবে সেখানে কোনো বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। একদম প্রাথমিক অবস্থায় আছে বিষয়গুলো।’’
পাশাপাশি আব্বাসকে ইঙ্গিত করে অধীর সাফ জানান, ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে রাজনীতি করতে হবে, কোনো ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে আমরা সেখানে যাব না। আবার আব্বাসকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সূক্ষ্ম মতান্তর রয়েছে। অধীর এ নিয়ে কৌশলে চললেও, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আব্বাসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। সম্প্রতি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে এই মর্মে তিনি একটি চিঠিও লেখেন।