গিলগিট বালতিস্তান প্রদেশে সরকার গঠন করছে ইমরান খানের দল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১০:০০
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সরকারি ফলাফল অনুসারে পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তান প্রদেশের নির্বাচনে ৩৩টি আসনের মধ্যে ২২টি আসনে জয় লাভ করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। ফলে তারা ওই অঞ্চলে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধী দল পিপিপি এবং পিএমএল-এন পেয়েছে যথাক্রমে পাঁচ ও তিনটি আসন। দু’টি দলই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে। ডন ।
সব মিলিয়ে জিবিএলএতে (গিলগিট বালতিস্তান লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লি) ৩৩টি আসন রয়েছে- এর মধ্যে ২৪টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। বাকি ৯টি আসনের মধ্যে ছয়টি মহিলাদের এবং তিনটি টেকনোক্র্যাট এবং পেশাদারদের জন্য সংরক্ষিত। রাজনৈতিক দলগুলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীদের পরের দিকে মনোনীত করতে পারে। নির্বাচনে পিটিআই ১০টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল এবং ৭টি স্বতন্ত্র প্রার্থী দ্বারা জিতেছিল। জেইউআই ও মজলিস ওয়াহাদাতুল মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) একটি করে আসন জিতেছে। নির্বাচনের পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন পিটিআইতে যোগ দিয়েছেন এবং এমডব্লিউএমের সাথে আগে থেকেই পিটিআইয়ের আসন সমন্বয়ের ব্যবস্থা ছিল।
পিপিপির গিলগিট বালতিস্তান এলাকার সভাপতি অ্যাডভোকেট আমজাদ হুসেনকে জিবিএলএ-১ ও জিবিএলএ-৪ আসনে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পিপিপি জিবিএলএ-২৪ আসনেও জিতেছে। দলটি দু’টি সংরক্ষিত আসনও পেয়েছে- একটি মহিলাদের এবং অন্যটি টেকনোক্র্যাটদের জন্য। জিবিএলএ-২ আসনে পিটিআইর ফতেহুল্লাহ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, পিপিপির জামিল আহমদ পিটিআইর খানের থেকে ৬১৭ ভোট বেশি পেয়ে এ আসনে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। তবে ভোট পুনর্গণনা করা হলে ফলাফল পাল্টে যায়। জিবিএলএ-৩ এ পিটিআইর সৈয়দ সোহেল আব্বাসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, আর জিবিএলএ-৫ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী জাভেদ আলী মানওয়া জিতেছেন। জিবিএলএ-৬ ও জিবিএলএ-৭ উভয়ই পিটিআই জিতেছে এবং জিবিএলএ-৮ আসনে এমডব্লিউএম প্রার্থী মুহাম্মদ কাজিম জিতেছেন। জিবিএলএ-৯ এবং জিবিএলএ-১০ আসন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন। পিটিআই জিবিএলএ-১১ থেকে ১৪, জিবিএলএ-১৮ এবং জিবিএলএ-২০ আসনেও জিতেছে। শাসকদল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত চারটি এবং টেকনোক্র্যাটদের জন্য দু’টি সংরক্ষিত আসনও দখল করেছে।
এ দিকে পিএমএল-এন জিবিএলএ-১ এবং জিবিএলএ-১১ এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছিল।
সোমবার পিপিপির কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিল। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পরে এই প্রতিবাদটি সহিংসতায় রূপ নেয় এবং চারটি গাড়ি এবং জিবির বন বিভাগের একটি ভবন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। নির্বাচনে কারচুপির এবং পুলিশ কর্তৃক বল প্রয়োগের অভিযোগে বিক্ষোভ মঙ্গলবারও অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরপরই, পিপিপি তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে, দলের রিজার্ভেশনকে সম্বোধন না করেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা