২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৪ মাসে ভারতে ছাঁটাই ৬০ লাখ উচ্চ বেতনের কর্মী

৪ মাসে ভারতে ছাঁটাই ৬০ লাখ উচ্চ বেতনের কর্মী - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সঙ্কটের জেরে চাকরিতে কোপ পড়েছে বহু উচ্চ বেতনের কর্মীর। গত মে থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে ভারতে ৫৯ লক্ষ 'হোয়াইট কলার' চাকরিজীবী কর্মচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক ও অ্যাকাউন্ট্যান্টের মতো পেশাগত দক্ষ চাকরিজীবীরাও। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-র সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

গত জানুয়ারি-এপ্রিল ত্রৈমাসিকে ভারতের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পেশাগত দক্ষতার কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ। এই সমস্ত কর্মী বড় অংকের বেতন পেতেন। এর পরের চার মাসে অর্থাৎ মে-অগস্ট ত্রৈমাসিকে এই ধরনের হোয়াইট কলার চাকরিজীবীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ। অর্থাৎ এই চার মাসে ছাঁটাই হয়েছেন ৬০ লক্ষের কাছাকাছি হোয়াইট কলার কর্মী।

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের মে-অগস্ট ত্রৈমাসিকে ভারতে শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র এবং অ্যাকাউন্ট্যান্টের মতো উচ্চ পেশাগত দক্ষতার কর্মচারীর চাহিদা ছিল তুঙ্গে। ওই সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হোয়াইট কলার কর্মচারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ। আর ২০২০ সালের মে-অগস্ট ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ। অর্থাৎ এক বছরে ভারতে কাজ হয়েছেন প্রায় ৬৬ লাখ এই ধরনের কর্মচারীর।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রথম দেশে হোয়াইট কলার কর্মচারীদের উপরে সমীক্ষা শুরু করে সিএমআইই। তাদের পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ভারতে বিভিন্ন উচ্চ দক্ষতার পেশায় নিযুক্ত কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লক্ষের কাছাকাছি। তার পর থেকে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছিল। ২০১৯ সালের মে-অগস্ট ত্রৈমাসিকে সেই সংখ্যা শিখর স্পর্শ করে। ওই সময় ভারতে মোট হোয়াইট কলার কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে সংখ্যাটা প্রায় স্থিতিশিল ছিল। কিন্তু জানুয়ারি-এপ্রিল ত্রৈমাসিক থেকে তা পড়তে শুরু করে। সে সময় উচ্চ বেতনের কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮১ লাখে!

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ২৪ মার্চ থেকে টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার ফলে দেশে বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)। তাদের দেয়া পরিসখ্যান অনুসারে, গত ৫ এপ্রিল সপ্তাহান্তে দেশের শহরগুলোতে বেকারত্বের হার ৩০.৯৩ শতাংশ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে টেলিফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দেশের পরিবারগুলোর আয়, ব্যয়, আমানতের উপর এই সমীক্ষা চালায় তারা। মোট ৯,৪২৯ জনের সঙ্গে কথা বলে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়েছে সিএমআইই।

সূত্র : এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement