২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্যাঙ্গালুরে সংঘর্ষ : দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে সরকার

সহিংসতার সময় পুড়িয়ে দেয়া গাড়ি - ছবি : সংগৃহীত

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী সিটি রাভি। এই সংঘর্ষে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দোষীদের থেকেই আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে কর্নাটকের সরকার।

এর আগে উত্তর প্রদেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দোষীদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

ঠিক কীভাবে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা এখনো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয়ে গেছে কর্নাটকের শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যে। কর্নাটকের মন্ত্রী সিটি রাভি জানিয়েছেন, ‘পুরো সহিংসতাটা পূর্বপরিকল্পিত। জিনিসপত্র নষ্ট করার জন্য পেট্রোল বোমা ও পাথর ব্যবহার করা হয়। ৩ শয়ের বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঠিক কারা গোলমাল বাঁধিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংঘর্ষে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ উত্তরপ্রদেশেই মতোই আমরা হামলাকারীদের কাছ থেকেই আদায় করব।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব বেঙ্গালুরুর কেজি হাল্লি এবং ডিজি হাল্লি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পুলিশ স্টেশন এবং এক কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

ডিজি হাল্লি পুলিশ স্টেশনের বেসমেন্টে রাখা ২০০টি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ স্টেশনেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে তিনজনের মৃত্যু হয়। গোলমালে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট করেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়েই সহিংসতার সূত্রপাত।

সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা বারবার করে শান্তিরক্ষার আবেদন জানান।

সূত্র : এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement