২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মেহবুবা মুফতির মুক্তি চাইলেন রাহুল গান্ধী

মেহবুবা মুফতি - ছবি : সংগৃহীত

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব হয়েছে এক বছর হতে চললো। অথচ উপত্যকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে এখনো জননিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ বার তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অবিলম্বে মেহবুবা মুফতির মুক্তি চাইলেন তিনি।

জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত বছর ৫ আগস্ট মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহসহ কাশ্মিরের বহু রাজনীতিককে উপত্যকায় বন্দি করা হয়। পরে ওমর আবদুল্লাহ, সাজ্জাদ গনি লোনের মতো রাজনীতিকদের একে একে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা তো দূরের কথা বরং সম্প্রতি তার বন্দিদশার মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।

তা নিয়েই রোববার কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন রাহুল গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সরকার বেআইনিভাবে রাজনীতিকদের বন্দি করে রাখায় দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।’

শুক্রবার পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ গনি লোনকে মুক্তি দেয় জম্মু-কাশ্মির প্রশাসন। তার পর একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, জননিরাপত্তা আইনে মেহবুবা মুফতির বন্দিদশা আরো তিন মাসের জন্য বাড়ানো হলো। এই তিন মাস শ্রীনগরের গুপকার সাব জেলে রাখা হতে পারে তাকে।

চাইলে জননিরাপত্তা আইনে কাউকে দু’বছর পর্যন্ত বন্দি করে রাখা যায়। সেই আইন প্রয়োগ করে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার মেহবুবার বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হলো। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে উপত্যকার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। পিটিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বিজেপির বোঝা উচিত, এভাবে কাশ্মিরিদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’

মেহবুবা মুফতির বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করে ন্যাশনাল কনফারেন্সও (এনসি)। দেশের আর কোথাও জননিরাপত্তা আইনের অস্তিত্ব না থাকলেও, শুধুমাত্র কাশ্মিরে কেন এই আইনের প্রয়োগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। দলের নেতা ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে লেখেন, ‘বেআইনিভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল সাজ্জাদ লোনকে। উনি মুক্তি পেয়েছেন শুনে ভালো লাগল। আরো অনেককেই বেআইনিভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আশা করি তাদের মুক্তি দিতে খুব বেশি দেরি করবে না সরকার।’

সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমও মেহবুবা মুফতির বন্দিদশার মেয়াদবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ করেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আইনের অপব্যবহার করে মেহবুবা মুফতির বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সংরক্ষিত সাংবিধানিক অধিকারের উপর আক্রমণ।’

বিজেপির সাথে জোট গড়েই ২০১৬-র ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮-র ১৯ জুন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মেহবুবা মুফতি। নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সেই জোট ভেঙে যায় এবং উপত্যকায় রাজ্যপালের শাসন জারি হয়, তার পর গত বছর জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে পৃথক দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement