মারাত্মক ক্ষতিকারক পঙ্গপালকে যেভাবে উপকারে লাগাচ্ছে পাকিস্তান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুন ২০২০, ১৬:০০, আপডেট: ১১ জুন ২০২০, ১৬:০৯
পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে খাদ্যশস্য রক্ষায় এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে আগত পঙ্গপালের ঝাঁক ঠেকাতে ব্যবহার করছে মুরগীদের। পাকিস্তানিরা পঙ্গপালকে এখন মুরগীর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রুটির ঝুড়ি হিসেবে খ্যাত পাঞ্জাব প্রদেশে কৃষিতে একটি পাইলট প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছেন। যেখানে পঙ্গপাল ঠেকাতে কাজে লাগানো হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ওই প্রকল্প অনুযায়ী, পঙ্গপাল ধরে কেটে শুকিয়ে পোলট্রি ফিড হিসেবে জমা দিলেই গ্রামবাসীদের দেয়া হচ্ছে নগদ অর্থ।
স্থানীয়দের পুরস্কার হিসেবে প্রতি কিলোগ্রাম পঙ্গপাল সংগ্রহের জন্য ২০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। যা তাদের সারারাত ধরে পঙ্গপাল সংগ্রহে উৎসাহী করে তুলেছে।
ভারত ও পাকিস্তান গত ২৫ বছরের মধ্যে এ বছর পঙ্গপালের সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণের শিকার হয়েছে। পাকিস্তানের কৃষিজমি অঞ্চলের ফসল ও কৃষকের আয় ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুহাম্মদ খুরশিদ ও বায়োটেকনোলজিস্ট জোহর আলি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের উদাহরণ অনুসরণ করে প্রকল্পটি চালু করেছেন। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ সে দেশের দুর্ভিক্ষের মধ্যে প্রোটিন-সমৃদ্ধ পঙ্গপাল খাওয়ার জন্য লোকজনকে উৎসাহিত করছে।
তারা এখন বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঞ্জাবের ওকারা জেলা বেছে নিয়েছে। যেখানে কৃষকরা এখনো পঙ্গপাল দমনে এমন কোনো কীটনাশক ব্যবহার করেননি যাতে পঙ্গপাল খেতে অনুপযুক্ত হয়ে যায়।
মুহাম্মদ খুরশিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রথমে শিখতে হয়েছে। তারপর পঙ্গপাল কীভাবে ধরতে হবে তা স্থানীয়দের শিখিয়েছি। সাধারণ জাল এই পোকার বিরুদ্ধে অকেজো।’
রাতের শীতল তাপমাত্রায় গাছপালাতে পঙ্গপাল নিশ্চল অবস্থায় থাকে। তখন গাছে ঝাকি দিয়ে ওগুলো ধরে ফেলা সহজ।
পঙ্গপালের আক্রমণে পুরো ফসল হারানো একজন কৃষক জানিয়েছেন, তিনি ও তার ছেলে এ পোকাটি ধরে এক হাজার ৬০০ রুপি আয় করেছেন, যা তা ফসলের ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে গেছে।
আয়োজকরা প্রথম প্রথম এতে কাউকে যুক্ত না করতে পারলেও তৃতীয় রাতেই প্রায় শতাধিক ব্যক্তি কাজে লেগে যান। ২০ টনের মতো পঙ্গপাল সংগ্রহ হয়ে যাওয়ার পর অর্থের অভাবে তখন কর্তৃপক্ষ তা সংগ্রহ স্থগিত করে রাখে।
সূত্র : আলজাজিরা