হাতির পর কেরালায় এবার নৃশংসতার শিকার কুকুর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুন ২০২০, ১৫:১৯, আপডেট: ১১ জুন ২০২০, ১৫:২২
গর্ভবতী হাতিকে বিস্ফোরক মেশানো আনারস খাইয়ে হত্যার ঘটনার জের শেষ হতে না হতেই ভারতের কেরালা রাজ্যের বাসিন্দারা আরো একটি নৃশংস ঘটনার জন্ম দিলো। দুই সপ্তাহ ধরে একটি কুকুরের মুখ আইসোলেশন টেপ দিয়ে বেঁধে রাখলো। চলতি সপ্তাহের শুরুতে একটি পশুপ্রেমী সংস্থা তাকে উদ্ধার করে। পশুর প্রতি একের পর এক নৃশংস ঘটনার পর কেরালা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ঘটনাটি রাজ্যের থ্রিসুর জেলার। সেখানকার একটি পশুপ্রেমী সংগঠন ‘পাওয়াস’ দুই সপ্তাহ আগে একটি ফোন কল পায়। তাদের জানানো হয়, জেলার ওলুর এলাকায় একটি কুকুরের মুখে টেপ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কুকুরটিকে উদ্ধার করার অনুরোধ করা হয়।
সংগঠনটি দ্রুত কুকুরটি খোঁজার কাজ শুরু করে। বেশ কয়েকদিন চেষ্টার পর কুকুরটির হদিস পায় স্বেচ্ছাসেবকরা।
সংগঠনটির সেক্রেটারি রামাচন্দ্র বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, কুকুরটির মুখ হয়ত একটুখানি টেপ দিয়ে বাঁধা। কিন্তু যখন আমরা ওকে পেলাম। অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মুখের মাংস ছিড়ে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল টেপ। তার মুখে কয়েকবার প্যাঁচানো হয়েছিল টেপ দিয়ে। যার কারণে মাংস ভেদ করে হাড় পর্যন্ত বিঁধে গেছে। কতটা শক্ত করে বাঁধলে এমন অবস্থা হতে পারে, ভাবুন। আমরা যখন ওর মুখ থেকে টেপটা কেটে ফেলে দিয়েছি। ও দুই লিটার পানি খেয়েছে!
তিনি বলেন, এর পর আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ওর চিকিৎসা করা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছে। অবস্থা এখন ভালোর দিকে।
তিনি জানান, কুকুর কয়েক সপ্তাহ না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে।
তবে কুকুরের সাথে এমন নৃশংস আচরণের কী মানে হতে পারে? কারণ হিসেবে তিনি অনুমাণ করেন, কুকুরটি যাতে বার বার ডাকতে না পারে, তাই হয়ত মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। যা খুবই অমানবিক কাজ।
সূত্র : দ্য উইক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা