আরাকান আর্মির ব্লুটুথ দিয়ে স্থল মাইনে বিস্ফোরণ, ভারতে উদ্বেগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৩
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্থলমাইনে বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘ব্লুটুথ’ ও ‘ওয়াই ফাই’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
মিজোরামের লংটালা জেলাজুড়ে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প স্থাপন করেছে আরাকান আর্মি। এর ফলে কালাদান প্রজেক্টটি হুমকির মুখে পড়েছে। এটি একটি বহুমুখী ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্প। একে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভারতের প্রবেশদ্বার মনে করা হয়।
মিজোরামেও উপস্থিতি রয়েছে বিদ্রোহী গ্রুপটির। এ কারণেই ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো স্থল মাইন বিস্ফোরণে তারা এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কিনা তা যাচাই করছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা এস্টাবলিশমেন্টের সাথে কাজ করা এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্রোহী গ্রুপগুলো স্থল মাইনে বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্লুটুথ ব্যবহার করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আমরা আসাম রাইফেলসকে অনুরোধ করেছি।
জি নিউজের কাছে থাকা বিশেষ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব স্থল মাইনের হুমকি নস্যাৎ করার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে জ্যামার স্থাপন করেছে। উত্তর রাখাইন রাজ্যে মোতায়েন মিয়ানমার সেনাবহিনীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন এসব এলাকা দিয়ে চলাচলের সময় বারবার জ্যামার ব্যবহার করছে। মিয়ানমারের আরেকটি বিদ্রোহী গ্রুপ কচিন ইন্ডিপেডেন্স আর্মিকেও আরাকান আর্মি আইইডি ব্যবহার শিখিয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তারা বিদ্রোহীরে ১২টি ক্যাম্প ধ্বংস করে দেয়।
এসব অভিযান সত্ত্বেও কালাদান প্রকল্প বড় ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে। দক্ষিণ মিজোরাম সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অভিযানে বিপুল সাফল্য লাভের দাবি করেছে। তবে বাস্তবে পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। কালাদান প্রকল্পটি রক্ষার জন্য ভারতের কাছ থেকে আরো সহায়তা প্রত্যাশা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
ভারতীয় নিরাপত্তা এস্টাবলিশমেন্টের সাথে সক্রিয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বরেন, আরাকান আর্মি পালেটওয়া সেতুর জন্য ৩০০ টন স্টিল ফ্রেম বহনকারী বার্মার জাহাজে হামলা চালিয়ে পুরো ইঞ্জিন ক্রু অপহরণ করেছে। পরে তাদের অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জাহাজটি ইয়াঙ্গুন থেকে পালেটওয়া যাচ্ছিল। আরাকান আর্মি এ ধরনের আরো হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
জি নিউজ/এসএএম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা