গুজরাটে কমান্ডো হামলা : পাকিস্তানের বক্তব্য
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩০ আগস্ট ২০১৯, ০৮:১৫
গুজরাটের কচ্ছ এলাকার নৌপথ দিয়ে পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত কমান্ডোরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তারা পানির নিচে হামলা চালাতে পারে বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা যে তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন তা নাকচ করে দিয়ে পাকিস্তান বলেছে, কাশ্মিরের দিক থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতেই এমন খবর প্রচার করছে ভারত।
গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার দাবিতে গুজরাট রাজ্যের সব বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। উপকূলরক্ষী বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কান্দলা, মুন্দ্রাসহ সব বন্দরেই জাহাজের ওপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্বাভাবিক কিছু নজরে এলেই পুলিশ বা উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানাতে বলা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ বা (এসএসজি) কমান্ডো মোতায়েনের খবর আগেই দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের সেনা গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, প্রায় ১ শ’ এসএসজি কমান্ডোর গতিবিধি তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। তার মধ্যেই নতুন এ তথ্য জানালেন গোয়েন্দারা।
ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, গুজরাটের বন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকে পাক কমান্ডোরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চালাতে পারে কিংবা হামলাও চালাতে পারে। এ আশঙ্কা থেকেই বন্দরে বন্দরে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। ঠিক কোন জায়গা দিয়ে কমান্ডোরা ঢুকতে পারে তাও নির্দিষ্ট করে জানা গেছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তারা বলছেন, স্যর ক্রিক খাড়ি বা নদীবহুল এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চলতে পারে।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা যে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছেন তাতে এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত কমান্ডোরা কচ্ছ উপসাগরের পশ্চিম উপকূলে ঢুকে পড়েছে বলে আভাস দেয়া হয়েছে এবং কান্দলা বন্দর পরিচালনাকারী একটি ট্রাস্টের সেক্রেটারিও এমন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার এমন খবরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি কেবল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এ ধরনের অনুপ্রবেশের যে কোনোরকম ঘটনা সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও এমন খবর নাকচ করে দিয়েছে। এক পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা এ খবর সত্য নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো তৎপরতা নেই। ভারত কাশ্মিরের দিক থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।’
সূত্র : রয়টার্স ও এনডি টিভি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা