২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

একটি বাদে সব আসনে জামানত হারিয়েছে বামেরা

একটি বাদে সব আসনে জামানত হারিয়েছে বামেরা - সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি থেকে কি বামেরা বিলুপ্তির পথে? পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের একটি মাত্র আসন ছাড়া সবক'টিতেই তাদের জামানত বাতিল হয়েছে। এমনকী জামানত রক্ষা করতে পারেননি মোহাম্মদ সেলিমের মতো হেভিওয়েট বাম নেতাও। টানা ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গ শাসন করা বামেদের দুরাবস্থার করুণ ছবি সামনে এসেছে নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য সাধারণদের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ২৫ হাজার রুপি জমা দিতে হয়। এসসি এবং এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই অঙ্ক যথাক্রমে ১২,৫০০ এবং ৫,০০০ রুপি। কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের ছ'ভাগের এক ভাগ বা ১৬.৬৬ শতাংশ না পেলে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করে কমিশন। পরিসংখ্যান বলছে, যাদবপুরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়া বামেদের আর মধ্যে আর কেউ এই রেখা পূরণ করতে পাননি। ফলে তাদের জামানত জব্দ হয়েছে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ২১.৪ শতাংশ ভোট।

শুধু তাই নয়, বামফ্রন্টের বৃহত্তম শরিক সিপিএমের ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭ জন এক লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্য শরিকদের অবস্থা তথৈবচ।

গতবারের লোকসভা ভোটে জয়ী মোহাম্মদ সেলিম এবং বদরুদ্দোজা খান এবার শুধু গো হারাই হারেননি, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এবার রায়গঞ্জে মাত্র ১৪.২৫ শতাংশ ভোট গিয়েছে সেলিমের পক্ষে। আর মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বদরুদ্দোজা খান পেয়েছেন ১১.৬৩ শতাংশ ভোট।
সূত্র : এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement