মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান : ভারতের ওপর কি খুব ক্ষুব্ধ ট্রাম্প?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২০
ইরানের সঙ্গে তেল কেনা ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক অস্ত্র কেনার জের? প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার ভারতের আমন্ত্রণ ফেরালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ভারতে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে এবার সেই পথে হাঁটলেন না ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের না আসার সিদ্ধান্ত ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। এমনটাই খবর সংবাদমাধ্যমের। বলা হয়েছে দেশে বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে ট্রাম্পের। আমন্ত্রণ না নিতে পারার জন্য দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এনিয়ে কিছু বলা হয়নি। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে একমাত্র কথা বলবে হেয়াইট হাউস।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানায় ভারত। সেই আমন্ত্রণ চিঠির প্রাপ্তির খবরও স্বীকার করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। তবে জানিয়ে দেয়া হয় সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-মার্কিন টু প্লাস টু বৈঠকের পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হাল আমলে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে তেল কেনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সংঘাতের আকার নিয়েছে। ওয়াশিংটন জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের কাছ থেকে যেসব দেশ তেল কিনবে তাদের নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি কিনছে ভারত। এতেও সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দুদেশের মধ্যে। কোনো কোনো মহল থেকে মনে করা হচ্ছে এই দুই কারণেই ভারতের আমন্ত্রণ ফেরাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিরক্ষাই প্রধান অ্যাজেন্ডা মোদি-সিনজোর বৈঠকে
ফের বিদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি জানান, শিনজো অ্যাবের সঙ্গে এই নিয়ে ১২বার দেখা করলেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন প্রথম তিনি দেখা করেছিলেন ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে৷
জানা গেছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে জায়গা পেতে পারে আঞ্চলিক নিরাপত্তা থেকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ পাশাপাশি ভারত-জাপান সম্পর্ক কী করে আরো দৃঢ় করা যায় সেই নিয়েও আলোচনা চলতে পারে তাদের মধ্যে৷ দুদিনের এই সামিটের প্রথম দিন রোববার মূল অ্যাজেন্ডা হিসেবে প্রতিরক্ষা জায়গা করে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
বৈঠকের পরে তারা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজন শেষে পরবর্তী পূর্ব নির্ধারিত কাজগুলো করবেন৷ তালিকায় রয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট ডিনার এবং ট্রেনে করে টোকিও সফরও৷
দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়া দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার মধ্যে আঞ্চলিক সমস্যা থেকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো উঠে আসতে পারে বলে জানা গেছে৷ পাশাপাশি টোকিওতে মোদি ইন্ডিয়ান কমিউনিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে৷