২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

মাঝরাতে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং-এর পর অবশেষে নাগপুর ছাড়লেন বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা

নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের এয়ারক্র্যাফট - ছবি : বিবিসি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি দুবাইগামী ফ্লাইট বুধবার মধ্যরাতে ভারতের নাগপুরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করার পর অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নতুন করে পাঠানো একটি এয়ারক্র্যাফটে করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এর আগে, ভারতীয় সময় বেলা আড়াইটা নাগাদ নাগপুর বিমানবন্দরের সিনিয়র এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর আবিদ রুহি জানান, ‘বিমান সংস্থা আজ যে রিপ্লেসমেন্ট এয়ারক্র্যাফটটি পাঠিয়েছে, তাতে যাত্রীরা উঠে পড়েছেন, কার্গো লোডিং-ও শেষ। মিনিট পনেরো-কুড়ির মধ্যেই সেটি টেক অফ করবে।’

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাঝরাতের কিছু সময় আগে দুবাইগামী বিমানটি ৩৯৬ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু মেম্বারকে নিয়ে নাগপুরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এয়ারক্র্যাফটে কিছু ‘টেকনিক্যাল ত্রুটি’র কারণেই এই ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার জন্য ল্যান্ডিংয়ের আগেই নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশেনের দমকল বিভাগের একটি টিমকে বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

তবে নাগপুরের চিফ ফায়ার অফিসার বি পি চন্দনখেড়ে জানান, ‘আমাদের টিম টারম‍্যাকে তৈরি ছিল ঠিকই। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের অগ্নি নির্বাপনের কোনো কাজ করতে হয়নি।’

অর্থাৎ বিমানে টেকনিক্যাল বা যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটলেও তা থেকে সৌভাগ্যবশত কোনো আগুন লাগেনি।

এদিকে, ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের পর ওই বিমানের যাত্রীদের বাবাসাহেব আম্বেদকর এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিংয়েই রাত কাটাতে হয়। কারণ তাদের কারো প্রায় ভারতের ভিসা ছিল না। ফলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করিয়ে তাদের স্থানীয় কোনো হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করাও সম্ভব হয়নি।

এদিকে, যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার শেষে প্রথম বিমানটিকেও খানিকক্ষণ আগে ‘ফিট টু ফ্লাই’ বা আবারও আকাশে ওড়ার যোগ্য বলে রায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু ওই বিমানের পাইলটদের একটানা প্লেন চালানোর সময়ের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় নতুন ক্রু মেম্বারদের আসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তারা এসে পৌঁছলে ওই বিমানটিও রাতেই নাগপুর ছেড়ে রওনা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement