২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

‘আমি চিৎকার করে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম, কেউ শোনেনি’

‘আমি চিৎকার করে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম, কেউ শোনেনি’ - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নিউ দিল্লিতে রেল স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এই ঘটনায় নিহত ১৮ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রশাসন, সেখানে চারজন শিশু এবং ১০ জন নারী রয়েছেন।

যাত্রীদের মধ্যে একটা বড় অংশ কুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্য প্রয়াগরাজের ট্রেনে সফর করার উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলেন ওই স্টেশনে।

কিন্তু ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্ল্যাটফর্মে হুড়োহুড়ি করার পাশাপাশি ফুট ব্রিজে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

এ সময় পদপিষ্ট হন অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কি না- এর বাইরে ঘটনার নেপথ্যে যে সমস্ত কারণ রয়েছে তার সব খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি রেলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং সামান্য আহতদের জন্য এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি, প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অনেকে।

সঙ্গমস্থলে ভোর বেলায় স্নানের উদ্দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

কী ঘটেছিল?
কুম্ভমেলার কারণে প্রয়াগরাজ যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা ছিল। স্টেশনে একদিকে যেমন কুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ঢল ছিল, তেমনই অন্য গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন শনিবার।

১৪ এবং ১৫ নম্ভর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন। পাশাপাশি অন্য দু'টো ট্রেন লেট করায় যাত্রীদের সংখ্যা আরও বেড়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

সব মিলিয়ে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক যাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য যে ফুট ব্রিজ ব্যবহার করা হয়, সেখানেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিলেন। হুড়োহুড়ি শুরু হয়, অনেকে ভারসাম্য সামলাতে না পেরে পড়ে যান।

রুবি দেবী নামে এক যাত্রী বিবিসি হিন্দিকে বলেন, ‘আমরা ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিলাম। এত ভিড় ছিল যে আমরা ভেতরের দিকে যেতে পারছিলাম না। ওখানে অনেকের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। আমরা কোনোমতে বেঁচে গেছি।’

বিহারের পাটনার বাসিন্দা ললিতা দেবি তার ভাগ্নে গিরিধারী সাথে দিল্লি থেকে পানিপথ যাচ্ছিলেন।

গিরিধারী বলেছেন, ‘আমরা দু'জনেই প্রথমে পাটনা থেকে এসেছিলাম। নিউ দিল্লি থেকে ট্রেনে করে পানিপথ যাচ্ছিলাম। কিন্তু ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হয়ে মামির মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য স্টেশনে আসা মাত্রই দেখলাম সেখানে প্রচণ্ড ভিড়। সিঁড়িতে ধস্তাধস্তির কারণে আমরা দু'জনে আলাদা হয়ে যাই।’

‘কিছুক্ষণ পর আমি শুনতে পেলাম দুই-তিনজনকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছেন। চাদর দেখে আমি মামিকে চিনতে পারলাম। চাদরটা সরাতেই হালকা একটা নিঃশ্বাস পড়ল।’ কথা বলতে বলতে ভেঙে পোড়েন তিনি।

শনিবারের পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে যে পরিমাণে টিকিট বিক্রি হচ্ছিল তাতে রেল কর্তৃপক্ষের আগেই অনুমান করা উচিত ছিল এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে, ঘটনার সময় পর্যাপ্ত সাহায্য মেলেনি বলেও যেমন অভিযোগ উঠেছে।

তেমনই কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, হঠাৎ ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়। যদিও রেল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

হিরালাল মাহাতো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘যখন ঘোষণা করা হয় যে ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ট্রেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে, তখন দু'দিক থেকে লোকজন আসতে শুরু করে।’

‘এমন পরিস্থিতিতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ব্রিজের উপরেই বহু মানুষ আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ ছিল না। প্রশাসন এক ঘণ্টা পর এখানে এসেছিল।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রবি অবশ্য ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ছিলাম। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের লোকজন যখন দেখেন ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে, তখন তারা সকলেই এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করেন। ভিড় এত বেশি ছিল যে থামানো যাচ্ছিল না। তবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়নি।’

‘(অন্য প্ল্যাটফর্মে) ট্রেন দেখা মাত্রই সেখান থেকে লোকজন দৌড়ে আসতে থাকে। ব্রিজের উপরে আরো লোক দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যাপক ভিড় ছিল। পুলিশ সব দেখছিল, কিন্তু ভিড় থামাতে পারেনি।’

অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলেছেন
পদপিষ্টের ঘটনায় দিল্লির কিরারির বাসিন্দা উমেশ গিরি তার স্ত্রী শিলাম দেবিকে হারিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা মহাকুম্ভে যাচ্ছিলাম। আজমেরি গেট থেকে আমরা উঠলাম, ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেসের ট্রেন ছিল। আমার টিকিট ছিল এসি কোচে।’

‘(ব্রিজের) উপরে ওঠার পর ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।’

‘আমার সামনে অনেকের দেহ পড়ে ছিল। তারপর ধাক্কাধাক্কি হয়, লোকজন তাদের ওপর দিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সময় সিঁড়ির সামনে তাদের (লাশ) রাখা হয়। তখন মিডিয়া ছিল না, প্রশাসনের কেউ ছিল না।’

তার অভিযোগ সাহায্য চাইলেও, সময় মতো তা মেলেনি। তিনি বলেছেন, ‘কারো কাছে কোনো সাহায্য পাইনি। পরে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি বহু পুলিশকর্মী, আরপিএফের লোকজনকে বলেছি, কিন্তু কেউ শুনতে রাজি ছিল না।’

দিল্লির সুলতানপুরীর বাসিন্দা শোভা আদতে বিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনায় তার দেবর আহত হয়েছেন এবং দেবরানির মৃত্যু হয়েছে।

তার দেবর আহত অবস্থায় তাকে ফোন করেন। শোকতপ্ত শোভা বলেন, ‘ফোনে আমাকে সে বলেছিলে- পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রী মারা গেছে, আমার আঘাত লেগেছে। তাড়াতাড়ি এস।’

‘ওর দুই সন্তানও চাপা পড়ে গিয়েছিল কিন্তু তারা নিরাপদে ছিল। তবে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’

'চিৎকার করে লোকজনকে থামতে বলেছিলাম, কিন্তু..'
ভারতীয় বায়ুসেনার কর্মকর্তা অজিত ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ভিআইপি মুভমেন্টের জন্য এসেছি। মুভমেন্ট শেষ করে ফিরছিলাম। কিন্তু যেতে পারিনি।’

‘এমনটা ঘটার আশঙ্কা আমার সন্ধ্যাতেই হয়েছিল। কারণ আমি যখন লোক কল্যাণ মার্গ দিয়ে নয়া দিল্লি আসছিলাম, তখন নয়া দিল্লি মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছিল, যা আসলে মাত্র দুই মিনিটের কাজ।’

বিমান বাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজ শেষ করে ফেরার সময় পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এর পর আমি নিজেই ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা করি যে ভারতীয় সেনা ও প্রশাসনের তরফে সবাইকে তিন-চার দিন অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে।’

‘আমি লোকজনকে বলেছি, একই সময়ে পাঁচ থেকে দশ হাজার মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারে না। কিন্তু কেউ শুনতে করতে রাজি ছিল না।’

প্রশাসন কী বলছে?
উত্তর রেলের মুখপাত্র হিমাংশু উপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘যখন ঘটনাটা ঘটে, তখন ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পাটনাগামী মগধ এক্সপ্রেস ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে জম্মুগামী উত্তর সংক্রান্তি এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল।'

‘সেই সময়, ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাওয়ার সিঁড়িতে কিছু যাত্রী পা পিছলে পড়ে যান যার ফলে তাদের পিছনে থাকা কয়েকজন যাত্রী ঘটনার কবলে পড়েন এবং এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।’

একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রেল পুলিশের ডিসিপি কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘কেন হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং পদপিষ্ট হয়, তার সঠিক কারণ তদন্তের পরে জানা যাবে। যে কাজ রেল করবে।’

‘আমরা ভিড় অনুমান করেছিলাম। কিন্তু দু'টো ট্রেন দেরি করায় সেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ জড়ো হন এবং এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘রাত ৯টার দিকে ভিড় বাড়তে থাকে। কোনো জায়গায় যখন বেশি মানুষ জড়ো হয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে এবং সেই সময় যদি কোনো ভুল তথ্য ছড়ায়, তাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এখন, এক্ষেত্রে কেন এমনটা ঘটল, তা জানা যাবে তদন্তের পরে যে কাজ (তদন্ত) করবে রেল।’

পদপিষ্ট হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ডিসিপি মালহোত্রা বলেন, ‘যে ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছে, সেই সময় বেশি সংখ্যক মানুষ একজাগায় ছিলেন এবং দু'টো ট্রেন দেরিতে চলছিল। তবে এর নেপথ্যে কী ঘটনা রয়েছে, তা রেলের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে।’

অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসতে বলা হয়েছিল, যে কারণে হঠাৎ হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে রেলের ডিসিপি মালহোত্রা বলেন, ‘না, সেরকম কিছু নয়। ঘোষণা করা হয়েছিল, রেল থেকে একটা বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। তবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করার মতো কোনো ঘটনার কথা আমার জানা নেই।’

পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, প্রতি ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে লাখে লাখে মানুষ জড়ো হন। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শুরু হয়।

এই প্রসঙ্গে ডিসিপি বলেন, ‘না, ৬টা থেকে লাখ লাখ মানুষ ছিলেন না। রাত ৯টা নাগাদ যে ট্রেন ছিল, ওই সময় ভিড় বাড়ে। সন্ধ্যা ৬টার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল।’

এনডিআরএফ-এর কমান্ড্যান্ট দৌলত রাম চৌধুরি বলেছেন, ‘১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাই। আমরা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়েছিলাম।’

রাজনৈতিক বিতর্ক
এই ঘটনার জন্য কেন্দ্র সরকারকে দুষেছেন বিরোধী নেতারা। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ ইয়াদভ। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘দিল্লিতে মহাকুম্ভ ভক্তদের মর্মান্তিক মৃত্যু হৃদয়বিদারক। সরকারকে রাজনীতিবিদদের মতো নয় বরং একজন পরিবারের সদস্যের মতো করে ভাবতে হবে যিনি তার বাবা-মা, ভাইবোন, সন্তান এবং আত্মীয়স্বজনকে হারিয়েছেন।’

‘নিহতদের লাশ পূর্ণ সম্মানের সাথে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করা উচিৎ এবং আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করা উচিত। বিজেপি সরকারের মৃত্যুর বিষয়ে সত্য গোপন করার পাপ করা উচিৎ নয়।’

এর আগে জানুয়ারি মাসে কুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করেও বিজেপিকে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, সেই ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তথ্য গোপন করেছে বিজেপি যদিও গেরুয়া শিবির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন , ‘গত রাতে নিউ দিল্লি রেলস্টেশনে যে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমার মনে হচ্ছে সরকারের একের পর এক সত্যি উন্মোচিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে রেল প্রশাসন এবং রেলমন্ত্রী এই খবর চাপা দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছিলেন। তিনি ক্রমাগত টুইট করছিলেন যে কেউ পদদলিত হননি, ভিড় বেড়েছে। কিন্তু কেন ভিড় বাড়ল? আপনাদের অব্যবস্থার কারণেই ভিড় বেড়েছে।’
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement