২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং - ছবি - সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার একটি আদালত ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বৃহস্পতিবার ঘোষিত আদালতের সিদ্ধান্তে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিসহ ২২ জন সামরিক কর্মকর্তা এবং আরো দু’জন বেসামরিক নেতার নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নেতৃত্ব দেয়া মিন অং হ্লাইংকে কেন্দ্র করে বুয়েনস আয়রেসের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানাটি জারি করেছে।

তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের সাথে জড়িত পরিকল্পিত হত্যা, নির্যাতন এবং যৌন সহিংসতা। এই রাজ্যটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।

মিয়ানমারের জান্তা এখনো আর্জেন্টিনার আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে জান্তার মুখপাত্র জেনারেল জাও মিন তুন মিয়ারমারের উপর আর্জেন্টিনার আইনগত কর্তৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি জান্তার ভাইবার প্রেস গ্রুপে বলেন, ‘আর্জেন্টিনা কি মিয়ানমারকে আদৌ চেনে? মিয়ানমার সরকার আর্জেন্টিনাকে চেনে। যদি আর্জেন্টিনা মিয়ানমারকে আইনগতভাবে সমালোচনা করতে চায়, তাহলে তাদের মিয়ানমারের উপর বিচারিক কর্তৃত্ব থাকতে হবে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি, প্রথমে আপনারা নিজেদের খালি বিচারিক পদগুলো পূর্ণ করার দিকে মনোযোগ দিন।’

২০১৯ সালে সর্বজনীন বিচারিক এখতিয়ারের নীতির অধীনে মামলাটি দায়ের করা হয়। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা অব্যাহতভাবে আর্জেন্টিনার সম্পৃক্ততা এই মর্মে প্রত্যাখ্যান করে আসছে যে বিদেশী আদালতগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নেতাদের বিচার করার কোনো কর্তৃত্ব রাখে না। সর্বজনীন বিচারিক এখতিয়ারের নীতিটি জাতীয় আদালতকে গুরুতর অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয়।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement