০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ৮ শাবান ১৪৪৬
`

পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার সুদের হার কমাল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার সুদের হার কমাল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - ছবি : সংগৃহীত

প্রবৃদ্ধির মন্থর গতি নিয়ে উদ্বেগ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুক্রবার প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সুদের হার কমিয়েছে।

মুম্বাই থেকে এএফপি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)’র বরাত দিয়ে জানায়, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ দেয়ার হার রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো গত বছর সুদের হার কমিয়েছিল, এবং কিছু এখনও তা অব্যাহত রেখেছে। তবে ভারতের জন্য মূল্যস্ফীতি এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতি সম্প্রতি কিছুটা শিথিল হয়েছে। ডিসেম্বরে এটি চার মাসের সর্বনিম্ন ৫.২২ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যমেয়াদি লক্ষ্য ৪ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

এখন মূল্যস্ফীতির চাপ শিথিল হওয়া মানে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়েছে।

ভারতের অর্থনীতি সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ধীর গতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে, যার কারণ ছিল ধীরগতি উৎপাদন এবং নগর খাতের মন্থর ভোক্তা ব্যয়।

এখন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে- এই আর্থিক বছরে কোভিড-১৯ মহামারীর পর প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে ধীর গতিতে হবে। গত বছর এটি ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।

আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা, তার প্রথম অর্থনৈতিক নীতি পর্যালোচনায় বলেছেন, সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তটি একতরফাভাবে নেয়া হয়েছে।

মালহোত্রা তার পূর্বসূরি শক্তিকান্ত দাসের তুলনায় কিছুটা কম আক্রমণাত্মক পন্থা গ্রহণ করেছেন। শক্তিকান্ত মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২.৫ শতাংশ পয়েন্ট সুদের হার বৃদ্ধি করেছিলেন।

ব্যাংকটি সর্বশেষ ২০২০ সালের মে মাসে সুদের হার কমিয়েছিল।

আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তটি সরকারের বার্ষিক বাজেটে ব্যাপক আয়কর হ্রাসের ঘোষণা দেয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পর এসেছে। আয়কর হ্রাসের লক্ষ্য ছিল খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি এবং দুর্বল মজুরি বৃদ্ধির ফলে ভোগান্তিতে থাকা ভোক্তাদের হাতে আরো টাকা পৌঁছে দেয়া।

ভারতের অর্থনীতি সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি পর পর সাতটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স এবং বিশ্লেষকদের ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়েও কম।

এই প্রবৃদ্ধি ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশিভাগ সময়ের দ্রুত প্রবৃদ্ধির তুলনায় কিছুটা ধীর গতির ইঙ্গিত দিলেও এই ফলাফলের মাধ্যমে ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধমান প্রধান অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান করছে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement