ফেরত পাঠানো শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে ফেরত পাঠানো শুরু করে দিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রয়টার্সকে। তিনি জানিয়েছেন, একটি সি-১৭ বিমান ইতোমধ্যে অভিবাসীদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হয়। ধরপাকড়ও শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরতও পাঠিয়েছে তারা। অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পেন্টাগনে মার্কিন সামরিক সদর দফতর থেকেও সাহায্য নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
রয়টার্স জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পেন্টাগন থেকে বিমান দেয়া হচ্ছে। এল পাসো, সান দিয়েগো, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিভিন্ন দেশের প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। পেরু, গুয়েতেমালা এবং হন্ডুরাসে ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের।
নির্বাচনের আগে থেকেই অবৈধ অভিবাসন রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ বিষয়ে তৎপর হয়েছেন তিনি। বিনা নথিতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, তাদের ধরে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, ‘অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি।’
তার বক্তব্য, যদি কোনো দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক, তবে তাকে ভারতে ফেরানোর জন্য কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত। এটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের যাতায়াত আরো সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি।
তার কথায়, ‘অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনো একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সাথে আরো অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি (দেশের) সুনামের দিক থেকে কখনোই ভালো নয়।’
গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা