বাঘিনীর পথ আটকানোর অভিযোগ পর্যটকদের বিরুদ্ধে!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১২
অভয়ারণ্যের ভেতরে বাঘিনী এবং তার শাবকদের পথ আটকানোর অভিযোগে এবার স্বপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিলো ভারতের মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। মহারাষ্ট্র রাজ্যের উমরেড করন্ডলা অভয়ারণ্যে সম্প্রতি একটি বাঘিনী এবং তার পাঁচ শাবকের পথ আটকানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বন দফতরের জিপসি গাড়ির চালক এবং গাইডদের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।
এই জিপসি গাড়িগুলোতে করেই পর্যটকদের অভয়ারণ্যে ঘোরানো হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর জিপসি গাড়িতে থাকা কিছু পর্যটক বাঘিনীর পথ আটকান। বাঘিনীর পথ আটকানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এক মারাঠি দৈনিকেও এই অভিযোগ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য যে নিয়ম মানা প্রয়োজন, তার তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই আচরণের জন্য বাঘিনী এবং তার শাবকদের কষ্ট হয়েছিল বলেও অভিযোগে উঠে এসেছে।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর প্রথমে কিছুটা দায়সারা মনোভাব দেখিয়েছিলেন এ ঘটনায়। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ্যে আসার পর গাড়িচালক এবং গাইডদের মাত্র সাত দিনের জন্যই বরখাস্ত করেন তিনি। পরে অবশ্য শাস্তি বৃদ্ধি হয়। বরখাস্তের মেয়াদ তিন মাস বর্ধিত হয় এবং ২৫ হাজার রুপি করে জরিমানাও করা হয়।
বিচারপতি নিতিন ডাব্লিউ সাম্বরে এবং বিচারপতি ব্রুশালি ভি যোশীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের বন দফতরের প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে বন দফতর এ বিষয়ে জানতে পেরেছে। তারপরে জিপসির চালক এবং গাইডদের শাস্তির নির্দেশে বদল করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়ে ইতোমধ্যে হলফনামা আকারে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন মুখ্য বন সংরক্ষক। বাঘিনী ও শাবকদের সুরক্ষার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
অভয়ারণ্যের যে অঞ্চলে বাঘিনী ও তার শাবকেরা রয়েছে, সেখানে সাধারণের যাওয়া আপাতত নিষিদ্ধ রাখতেও প্রস্তাব দিয়েছে আদালত। আগামী ২০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা