মণিপুরে আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে উত্তেজিত জনতার হামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৩
স্থানীয় কয়েকজনকে হেনস্থার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। শনিবার রাজ্যের কামজং জেলার হংবেং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার হংবেং এলাকার নাগা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ি তৈরির জন্য কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কাঠবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন আসাম রাইফেলসের সদস্যরা। এরপরই শুরু হয় অসন্তোষ।
অশান্তির আশঙ্কায় মণিপুরের কাংপোকপি জেলার গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত কারফু বলবৎ থাকবে। তবে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত, তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, জীবন এবং সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
চলতি বছরের একদম গোড়ায় কাংকোপকি জেলায় পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কুকি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, কাংপোকপির পাহাড়ি এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছে কুকি জনজাতির মানুষরা। অন্যদিকে, মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবার বৈঠকে বসেন ওই রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা এবং সিআরপিএফ আধিকারিকেরা।
গত বছরের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মণিপুর। মাঝে কিছুদিন বিরতির পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে উভয়ের মাঝে নতুন করে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় একাধিক বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের বাড়ির অদূরে বোমা উদ্ধার হয়। এই আবহে গত ৩১ ডিসেম্বর মণিপুরের অশান্তির জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চান মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। যা ঘটেছে, তা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা বলেন। তার আশা চলতি বছরে শান্তি ফিরবে মণিপুরে। তবে এর মধ্যেও বারবার অশান্তি ছড়াচ্ছে মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা