আমেরিকার এক-পঞ্চমাংশ এইচ-১বি ভিসাই ভারতীয় সংস্থাগুলোর কাছে!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩২
বিদেশী প্রযুক্তিবিদরা যাতে আমেরিকায় থেকে চাকরি করতে পারেন, তার জন্য মার্কিন প্রশাসন মোট যত পরিমাণ এইচ-১বি ভিসা মঞ্জুর করছে, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগেরই দখল নিচ্ছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা!
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের (মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা) একটি বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুসারে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই (চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে) মোট ১.৩ লক্ষ এইচ-১বি ভিসা মঞ্জুর করেছে আমেরিকার সরকার। তার মধ্যে কেবলমাত্র ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদেরই দেয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৭৬৬টি ভিসা!
যে ভারতীয় সংস্থাগুলো মার্কিন এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে শীর্ষে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইনফোসিস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) ও কগনিজেন্ট। এই সংস্থাগুলোর কর্মীদের নামে ভিসা মঞ্জুর হয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ১৪০টি, ৫ হাজার ২৭৪টি এবং ৬ হাজার ৩২১টি।
এছাড়াও, ভারতীয় সংস্থা উইপ্রোর কর্মীদের নামে ১ হাজার ৬৩৪টি এবং টেক মহিন্দ্রার জন্য এই সময়ের মধ্যে মোট ১ হাজার ১৯৯টি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছে জো বাইডেন প্রশাসন।
তবে, ভারতীয়দের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে যে সংস্থা রয়েছে, সেটা কিন্তু ইনফোসিস নয়। সেটি হলো অ্যামাজন ডট কম সার্ভিসেস এলএলসি। এই সংস্থার মাধ্যমে আমেরিকার ভিসা পেয়েছেন মোট ৯ হাজার ২৬৫ জন ভারতীয় কর্মী।
উল্লেখ্য, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো নিজেদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে বিদেশী দক্ষ কর্মীদের সাময়িকভাবে নিয়োগ করতে পারে, তার জন্যই এইচ-১বি ভিসা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এর ফলে মার্কিন মুলুকে অত্যন্ত লাভবান হচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলো। বিশেষ করে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা ভারতীয় সংস্থাগুলোর পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে ধনী যে মানুষটি, সেই ইলন মাস্কও একটা সময় এই এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমেই আমেরিকায় ঢুকেছিলেন। বর্তমানে তিনি অবশ্য একজন গণ্যমান্য মার্কিন নাগরিক।
যে কারণে মাস্ক বরাবরই এই ভিসা বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন শিল্প ও বাজারের অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মীদের আনতেই হবে। যা নিয়ে বিতর্কও কিছু কম হচ্ছে না। কিন্তু মাস্কের বক্তব্য- আমেরিকার স্বার্থেই মার্কিন মুলুককে সম্ভাবনা ও সুযোগের মুক্তাঞ্চলে উন্নীত করতে হবে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, আগামী ২০ জানুয়ারি ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্পও মাস্ককে সমর্থন করেছেন। অথচ তিনিই তার আগেরবারের শাসনকালে এই ভিসার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা