দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত : নিহত বেড়ে ১৭৭
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৩, আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:১৫
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস।
রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে দেশের দক্ষিণে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে উদ্ধারকর্মীরা। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ফায়ার অ্যাজেন্সি বলেছে, আগুন প্রায় নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে উদ্ধারকর্মীরা এখনো বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে লোকজনকে বের করার চেষ্টা করছেন।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। বিমানটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি।
তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, সত্যতা যাচাই করা যায়নি এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে।
কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই বিমানের এক অংশে আগুন ধরে যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশের দিকে উঠছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
এয়ারলাইন জেজু এক বিবৃতিতে এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মুয়ান এয়ারপোর্টের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা অবনত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা যা যা করার দরকার সব করব। এই কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত।’
এই বিমান সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো দুর্ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স।
ন্যাশনাল ফায়ার অ্যাজেন্সি ধারণা করছে, পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা হতে পারে।
তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।
ওদিকে মুয়ান বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চই স্যাং-মক। তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল, উপকরণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্টকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে শুক্রবারই তিনি দেশটির অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা