২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশে সরবরাহ কমেছে, শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায় আদানি

বাংলাদেশের জন্য তৈরি করা প্ল্যান্ট থেকে শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায় আদানি - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান উত্তেজনা এবং অসম চুক্তি নিয়ে ওঠা আপত্তির জেরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। গৌতম আদানির সংস্থাটি আগে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাঠাতো তার থেকে কমিয়ে মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে। সাধারণত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে থাকে আদানি পাওয়ার। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ যেমন শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করতে চাইছে সংস্থাটি। তবে তা করতে গেলে বাংলাদেশের সম্মতি লাগবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে এই প্রকল্পটি চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। তবে এ ধরনের প্রকল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভারত সরকার সম্প্রতি দেশীয় বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। তবে এর জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে আদানিকে নতুন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। কারণ বর্তমানে নেটওয়ার্ক শুধু বাংলাদেশে রফতানির জন্য।

যদিও শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বাধা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর জন্য বাংলাদেশের অনুমোদন প্রয়োজন।

এবিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘আদানির যে প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য ছিল সেটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করতে চাইছে। আমি বিশ্বাস করি এর জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে সম্মতি নিতে হবে।’

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশে কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। যদিও সঠিক পরিমাণ কতটা তা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধী রয়েছে।। বকেয়া নিয়ে বিরোধের জেরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার।

আদানি গোষ্ঠীর সূত্রে জানা গেছে, প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিক্রি করতে চাইছে তারা।

ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি থেকে শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা ভারতীয় নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গোড্ডা প্ল্যান্টটি ২০২৩ সালের জুন মাসে চালু করা হয়েছিল।

এদিকে, বাংলাদেশে আদানি প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই চলছে। হাইকোর্ট ১১টি প্রকল্পের তদন্ত করতে বলেছে। যার মধ্যে আদানি পাওয়ারও রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা নিয়োগের জন্য বলেছে হাইকোর্ট।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement