হু হু করে নামল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৯
আবারো সঙ্কটে গৌতম আদানি এবং তার মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় এই শিল্পপতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঘুষ এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরই বৃহস্পতিবার আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলোর শেয়ার দর ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
গৌতম আদানি এবং বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা থেকে ২০ বছরের ২০০ কোটি ডলার লাভ করা সম্ভব হতো, সেই প্রকল্পের চুক্তি নিজেদের হাতে করতে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় দু’হাজার ২৩৭ কোটি ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা। নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে সেই অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। আর তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দরেও পতন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বাজার শুরু হতেই আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমে দু’হাজার ৫৩৯ দশমিক ৩৫ রুপি হয়েছে। আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারের দর ১৭ শতাংশ কমে হয়েছে এক হাজার ১৭২ দশমিক ৫০ রুপি। আদানি এনার্জি সলিউশনের দাম পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই সংস্থার শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ কমে ৬৯৭ দশমিক ২৫ রুপি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের তীর গৌতমের দিকে পড়তেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর হু হু করে নামতে থাকে। ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে এক ঘণ্টায় দু’লাখ কোটি রুপির সম্পদ হারিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
ঘুষকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে গৌতমের ভাইয়ের সাগর আদানিরও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গৌতম আদানি ও সাগর- দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’-এর সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রূপেশ আগরওয়াল, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল এবং দীপক মলহোত্র।
আদানি গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শিগগিরই সংস্থার পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করা হবে।
২০২২ সালে প্রকাশিত হয় হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ধস নামে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে। অনেকে বলতে শুরু করে, আদানির সাম্রাজ্যের ইতি ঘটল। রাতারাতি এই গোষ্ঠীর বাজার দর পড়ে যায়। অর্থাৎ যে সংস্থার বাজার দর ছিল ১৯ লাখ কোটি রুপি, তা প্রায় সাত লাখ কোটি রুপি হারিয়ে সাড়ে ১২ লাখ কোটি রুপিতে এসে পৌঁছায়। এক বছর পর পরিস্থিতি কিন্তু অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন আদানি। ফিরছিলেন স্বমহিমায়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আবার কালি লাগল আদানির নামে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা